হাকিকুল ইসলাম খোকন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি: ২ জুন ২০২৪, রোববার বিকেল ৫টায় জ্যামাইকায় সিরাজুল আলম খান স্মৃতি পরিষদের সভা সংগঠনের আহবায়ক ডক্টর মোহসীন পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব শাহাব উদ্দীনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন ডা. মুজিবুল হক, এডভোকেট মুজিবুর রহমান, এডভোকেট মতিউর রহমান, নাজির আহমেদ চৌধুরী, হারুন রশীদ, আব্দুল হান্নান, মোহাম্মদ শহীদ, মন্টু চৌধুরী, আব্দুর রহিম প্রমুখ।
স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রাণ পুরুষ, আজীবন গণমানুষ ও রাষ্ট্রচিন্তাবিদ সিরাজুল আলম খানের প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী আগামী ৯ জুন ২০২৪, রোববার নিউইয়র্কে জ্যাকসন হাইটসের জুইস সেন্টারে বিকাল ৬টায় সবাইকে উপস্থিত হওয়ার জন্য প্রগতিশীল ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সকলকে উপস্থিত থাকার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন। কারণ তিনি এমন একজন মানুষ ছিলেন ১৯৬২ সাল থেকে তিলে তিলে ছাত্র শ্রমিক জনতাকে সংগঠিত করে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা এনে দেন। তার চিন্তাধারা দেশের মেহনতী মানুষ শ্রমজীবী কর্মজীবী মানুষের প্রতিনিধিত্বকারী পার্লামেন্ট, ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ, শুধু রাজধানী নয় শহর থেকে গ্রাম পর্যায়ে উন্নয়ন ও ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ সহ রাষ্ট্র ও জনগণের উন্নয়ন ও কল্যাণের জন্য প্রচুর বই লিখে গিয়েছেন। যা বর্তমান সময়ের সমাজ উন্নয়নের গবেষণার দরকার।
নতুন প্রজন্মের জন্য মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য এই ব্যক্তির জীবনাদর্শ বেশি করে আলোচনা করা দরকার। দেশ ও জাতি তাতে উপকৃত হবে। স্বাধীনতার অন্যতম মূল সংগঠক ও বঙ্গবন্ধুর সিপাহসালার জাতীয় চার নেতা এবং সিরাজুল আলম খান, আব্দুর রাজ্জাক, কাজী আরেফ আহমদ, তোফায়েল আহমদ, আসম রব সহ এই সকল নেতাদের রাজনৈতিক জীবন জাতীয়ভাবে পালন ও পাঠ্যপুস্তকে আন্তরভূক্ত করা উচিৎ।
আলোচনা সভার শুরুতে জননেতা সিরাজুল আলম খান, মহান ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৬২, ৬৪ এর ৬ দফা, ১১ দফা, শিক্ষা আন্দোলন ও স্বাধিকার আন্দোলন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, আগড়তলা ষড়যন্ত্র মামলা, ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ, ১৫ আগস্ট, ২১শে আগস্ট, ৩ নভেম্বরের নিষ্ঠুর হত্যাকান্ড এবং স্বৈরাচার বিরোধী এবং সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আত্মত্যাগী বীর এবং সম্ভ্রমহারা ২ লক্ষাধীক মা-বোনদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে দাড়িয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।