হাকিকুল ইসলাম খোকন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি: নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটর হোজে পেরাল্টা পরলোকগমন করেছেন। বুধবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় স্থানীয় এলমহার্স্ট হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো মাত্র ৪৭ বছর। তিনি স্ত্রী ও দুই পুত্র রেখে গেছেন। তিনি প্রথম ডমেনিকান-আমেরিকান, যিনি বাংলাদেশি অধ্যুষিত জ্যাকসন হাইটস-করোনা-এলমহার্ষ্ট-ইষ্ট এলমহার্ষ্ট ও উডসাইড-এষ্টোরিয়ার কিয়দংশ নিয়ে গঠিত নিউইয়র্ক সিনেট ডিষ্ট্রিক্ট-১৩ থেকে নির্বাচিত সিনেটর ছিলেন।
জানা গেছে ২১ নভেম্বর বুধবার হঠাৎ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে সন্ধ্যা ৮:০০ টায় স্থানীয় এলমহার্ষ্ট হাসপাতালে ভর্তি হন এবং পরিবারের সদস্যদের সামনেই শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত অমায়িক ও বন্ধুসুলভ ব্যক্তিত্বের অধিকারী হোজে পেরাল্টা ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী হিসেবে স্টেট অ্যাসেম্বলীম্যান ছাড়াও তিনবার স্টেট সিনেটর নির্বাচিত হন। জ্যাকসন হাইটসে বসবাসকারী পেরাল্টা প্রবাসী বাংলাদেশিদের বন্ধু হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
পেরাল্টার ১৯৭১ সালের ১০ নভেম্বর নিইউয়র্কে জন্মগ্রহণ করে। ৮ বছর বয়সে তিনি তার মা-বাবার সাথে ওয়াশিংটন হাইটস থেকে নিউইর্কে আসেন। ১৯৮৯ সালে ফ্লাশিং হাই স্কুল থেকে গ্র্যাজুয়েশন করার পর লেখাপড়া করেন নিউইয়র্কের কুইন্স কলেজ ও সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্ক-এ। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তিনি ল্যাটিনো স্টুডেন্ট বডির প্রথম সভাপতি ছিলেন।
কুইন্স কলেজ থেকে ডিগ্রী লাভের পর তিনি নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলীর কমিউনিটি লিয়াজো পদে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি কমিশন অন দ্য ডিগনিটি ফর ইমিগ্র্যান্টস-এর পরিচালক পদেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০২ সালে নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলী ডিষ্ট্রিক্ট ৩৯ থেকে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী হিসেবে রিপাবলিকান প্রার্থী চার্লস গঞ্জালেস-কে পরাজিত করে প্রথম ষ্টেট অ্যাসেম্বলীম্যান নির্বাচিত হন। একই পদে ২০০৪, ২০০৬ (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়), ২০০৮ (বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়) ষ্টেট অ্যাসেম্বলীম্যান নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে ২০১০ সালের স্পেশাল ও জেনারেল নির্বাচন এবং ২০১২, ২০১৪ ও ২০১৬ সালের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী হিসেবে ষ্টেট সিনেটর পদে নির্বাচিত হন।
উল্লেখ্য, চলতি বছর অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে একই পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রাইমারীতে নবাগত জেসিকা র্যামোস-এর কাছে পরাজিত হন।