হাকিকুল ইসলাম খোকন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি: দেশের ন্যায় প্রবাসেও বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন যথাযথ মর্যাদার সাথে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র‘ হোসেন শহীদ সোহ্রাওয়ার্দীর ৫৫তম স্মৃতিবার্ষিকী পালিত হয়েছে।
৫ ডিসেম্বর বুধবার অপরাহ্ন ২টায় নিউইয়র্ক মহানগরীর ম্যানহাটনের একটি রেস্টুরেন্টে সোহ্রাওয়ার্দী স্মৃতি পরিষদ, বঙ্গবন্ধু প্রচারকেন্দ্র সমাজকল্যাণ পরিষদ, ইন্টারন্যাশনাল বঙ্গবন্ধু সেন্টার , বাংলাদেশ মানবাধিকার পরিষদ, জাতীয় চারনেতা পরিষদ, প্রবাসী বাঙ্গালি সমাজকল্যাণ পরিষদ , বনলতা শিল্পী-সাহিত্যিক -সাংবাদিক গোষ্ঠী ও শিরি শিশু সাহিত্য কেন্দ্র -নিউইয়র্ক শাখা প্রভৃতি সংগঠনসমূহ-এর যৌথ উদ্যোগে এক স্মৃতি সভা সংগঠনের সভাপতি শিশু সাহিত্যিক হাসানুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকনের সার্বিক পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আমেরিকা-বাংলাদেশ এলাইন্সের প্রেসিডেন্ট ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক এমএ সালাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি-যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি হাজী আনোয়ার হোসেন লিটন, উদয়ন শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি ডাঃ টমাস দুলু রায়, ইন্টারন্যাশনাল বঙ্গবন্ধু সেন্টারের মহা সচিব ভূতত্ত্ববিদ গিয়াসউদ্দিন আহমেদ, প্রবাসী বাঙালি সমাজকল্যাণ পরিষদের ফিরাজ মাহমুদ, সংগঠক জাহাঙ্গীর কবীর, বঙ্গবন্ধু প্রচারকেন্দ্র সমাজকল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবি এম আনোয়ারসহ আরো অনেকে সারগর্ভ আলোচনায় অংশ নেন এই মনোরম স্মৃতি সভায়।
প্রধান অতিথি এমএ সালাম তাঁব বক্তব্যে বলেন, ‘‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোহ্রাওয়ার্দীকে তাঁর রাজনৈতিক পিতা হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন, অথচ বর্তমান সময়ের অনেক নেতাই সোহ্রাওয়ার্দীর নাম যথাযথভাবে উচ্চারণ করেন না।
সাংবাদিক হাকিকুল ইসলাম খোকন বলেন, ‘‘কিংবদন্তী নেতা সোহ্রাওয়ার্দী গণতন্ত্রের পতাকাকে সমুন্নুত রাখার সাধনায় সারা জীবন ব্যাপৃত ছিলেন বলে তাঁকে ‘গণতন্ত্রের মানসপুত্র‘ হিসেবে অভিহিত করা হয়ে থাকে।
সভাপতির ভাষণে শিশু সাহিত্যিক হাসানুর রহমান বলেন, ‘পদ্মা-মেঘনা-যমুনা যতদিন বহমান থাকবে, স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা সোহ্রাওয়ার্দী ও তাঁর একান্ত শিষ্য স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম রবে চির অমলিন। সোহ্রাওয়ার্দী ছিলেন তাঁর সময়কার অবিস্মরণীয় জনপ্রিয় নেতা।
সভার শুরুতে সোহ্রাওয়ার্দী ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পামাল্য অর্পণ করা হয়। এরপর সবার প্রারম্ভে ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট স্বপরিবারে নিহত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, ডাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে চার জাতীয় নেতা, একাত্তর-এর মুক্তিযুদ্ধ ও ১৯৫২- এর মহান ভাষা আন্দোলনসহ আজ পর্যন্ত সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহতদের স্মরনে সভায় দাঁড়িয়ে এক মিনটি নিরাবতা পালন করা হয়।