হাকিকুল ইসলাম খোকন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি: ‘বাংলাদেশ যে ঘুরে দাঁড়িয়েছে তার জন্য শেখ হাসিনাকেই কৃতিত্ব দিতে হয়।’ ‘তিনিই বাংলাদেশের জননী, আবার তিনিই বাংলার কন্যা।’ ‘বাংলাদেশের জন্য আরো অন্তত পনের বছর শেখ হাসিনার নেতৃত্ব দরকার।’ মুক্তধারা, নিউইয়র্কের আয়োজনে রাজনীতি বিশ্লেষক সুভাষ সিংহ রায়ের লেখা ও অনন্যা প্রকাশনী প্রকাশিত শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন বইটির প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে জ্যাকসন হাইটসস্থ ইত্যাদি পার্টি হলের দোতলায় অনুষ্ঠিত আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশের সংবাদভিত্তিক চ্যানেল একাত্তর টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল হোসেন বাবু, বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, একাত্তর টিভির সাংবাদিক ফারজানা রূপা ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম। গ্রন্থটির লেখক সুভাষ সিংহ রায় এবং মুক্তধারা নিউইয়র্কের কর্ণধার বিশ্বজিত সাহাও বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ফাহিম রেজা নূর।
সুভাষ সিংহ রায়কে ধন্যবাদ জানিয়ে ৭১ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাম্মেল বাবু বলেন, ‘সুভাষ সিংহ রায় পরবর্তী প্রজন্মের জন্য অনেকগুলো দলিল একত্র করেছেন।’ বক্তৃতায় শেখ হাসিনাকে তিনি বাংলার মুখ বলে অভিহিত করেন।
শ্যামল দত্ত তাঁর দীর্ঘ সাংবাদিকতা জীবনের অভিজ্ঞতার সূত্র উল্লেখ করে বলেন, বড় ল্যান্ডস্কেপে যদি দেখা হয় তাতে আজকের বাংলাদেশ যেখানে দাঁড়িয়ে আছে সেখানে যদি এক পক্ষকেই বেছে নিতে হয় তাহলে শেখ হাসিনাকেই বেছে নিতে হবে আমাদের। জাতিসংঘের অধিবেশনে আমরা দেখলাম শেখ হাসিনা যখন প্রবেশ করছেন তখন সভাকক্ষে যেন একটা চঞ্চলতার সৃষ্টি হয়ে যাচ্ছে। অন্যান্য নেতৃবৃন্দকেও তো আমরা দেখলাম, কই তাঁদের কাউকে নিয়ে তো চাঞ্চল্য সৃষ্টি হচ্ছে না। অর্থাৎ তিনি বিশ্বে এতটাই গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছেন।’ তিনি সুভাষ সিংহ রায়ের ‘শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন’ বইটি নিয়ে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার দুটি প্রত্যাবর্তনের কথা এই বইয়ে বলা হয়েছে। দুটি প্রত্যাবর্তনই মে মাসে। একটি ৭ই মে, অন্যটি ১৭ই মে।
বইটি নিয়ে আলোচনার সূত্রে একাত্তর টিভির সাংবাদিক ফারজানা রূপা বলেন, ‘বইটা পুরো পড়া সম্ভব হয়নি। কিন্তু পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে বুঝতে পেরেছি বইটার মধ্যে এমন অনেক দলিল আছে যা সাংবাদিকদের বার বার কাজে লাগবে। আমরা একাত্তর দেখিনি, পঁচাত্তর দেখিনি। কিন্তু ২০০১ বা ২০০২, ২০০৬ বা ২০০৭-এর রাজনৈতিক ঘটনাবলি সাংবাদিকতা করতে গিয়ে কাছে থেকে দেখেছি। শেখ হাসিনার মধ্যে রয়েছে নিজের বিশ্বাসের সঙ্গে কর্মের যোগ।’
শেখ হাসিনার জন্মদিনের কথা স্মরণ করে ও তাঁকে শুভকামনা জানিয়ে সুভাষ সিংহ রায় বলেন, বইটিতে তিনি এমন অনেক প্রামাণ্য দলিল উপস্থাপন করেছেন যাতে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের ঘটনাবলির পর তৎকালীন সরকারের বঙ্গবন্ধু বিরোধিতায় নিয়োজিত অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নাম আছে যাঁদের অনেকেই এখন বঙ্গবন্ধু প্রেমিক।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম বলেন, ‘জাতিসংঘ থেকে তাঁকে আজ শেখ হাসিনাকে লীডার অব হোপ বা লীডার অব পীস’ নামে অভিহিত করছে। আমরা বাঙালিরা এই গৌরববোধের অংশীদার।’