হাকিকুল ইসলাম খোকন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি: নিউইয়র্ক থেকে সর্ব প্রথম প্রকাশিত সাপ্তাহিক পত্রিকা দিগন্ত এর প্রকাশক ও সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সানু খানের মাতা বেগম সালমা খান বাধর্ক্য জনিত কারণে গত ৬ ডিসেম্বর স্থানীয় সময় দুপুর ১:৩০ মিনিটে জ্যামাইকাস্থ নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন (ইন্নাল্লিাহি……..রাজিউন)। নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট রাফেল তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান আশরাফ কর্তৃক প্রেরিত শোক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বৎসর। মরহুমার দুই ছেলে ৬ মেয়ে নিউইয়র্কে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন। বড় ছেলে সানু খান প্রকৌশলী হিসেবে কনএডিশনে কর্মরত। ছোট ছেলে রুস খান ম্যানহাটনে একটি স্টোরের ম্যানেজার। ১ম মেয়ের জামাই আব্দুল বারী অবকাশ ভিডিও স্টোরের কর্ণধার। দ্বিতীয় মেয়ের জামাই নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা নূর ইসলাম বর্ষন, তৃতীয় জামাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সোসাইটির উপদেষ্টা কাজী জাহাঙ্গীর, চতুর্থ জামাই সাবেক আনসার অফিসার হামিদুল চৌধুরী, পঞ্চম জামাই কবি ও সাংবাদিক সালেম সুলেরী, ষষ্ঠ জামাই শান্তু এলাহী স্টক ব্যবসায়ী, মরহুমার কণিষ্ঠ ভ্রাতা আনোয়ার হোসেন খান নিউইয়র্ক প্রবাসী ডেলটা এয়ারলাইন্সে কর্মরত।
মরহুমার বাবার বাড়ী শ্রীনগর এর কুমারভোগ গ্রামে। মরহুমা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন লৌহজং এর পশ্চিম মুনসা গ্রামের খা বাড়ীর পান্নু মিয়া খানের সাথে। বিবাহের পর পান্নু মিয়া খান ব্যবসায়িক কারণে নীলফামারীতে স্থায়ী হিসেবে বসবাস শুরু করেন।
উল্লেখ্য ২০০৬ সালে পান্নু মিয়া খান পরলোক গমন করেন। এরপর মরহুমা সালমা খান কিছু সময় দেশে কাটান এবং কিছু সময় ছেলে মেয়ে নাতী নাতনীদের সাথে নিউইয়র্কে কাটান। তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ্য ছিলেন এবং ইবাদত বন্দগিতে সময় কাটাতেন। জীবন দশায় ছেলেমেয়েদের সফল জীবন দেখে তিনি ইন্তেকাল করেন।
মরহুমার নামাযের জানাযা ৭ ডিসেম্বর শুক্রবার বাদ জুমা জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। এরপর লং আইল্যান্ডের ওয়াশিংটন মেমোরিয়াল কবরস্থানে দাফন করা হয়।
নর্থ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে মরহুমার রুহের মাগফেরাত কামানার জন্য প্রবাসী সকলের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।