হাকিকুল ইসলাম খোকন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি: ‘মহান শহীদ দিবস এবং স্বাধীনতা দিবস’ উপলক্ষে নিউইয়র্কে ৩৭ দিনব্যাপী চিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছে ২১ ফেব্রুয়ারি। অপরাজেয় বাংলার নির্মাতা এবং একুশে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী প্রয়াত সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালেদ এবং বেইজিং অলিম্পিকে স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত শিল্পী খুরশিদ আলম সেলিমের যৌথ শিল্পকর্মের এই প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় ২২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার।
নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কন্সাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা উদ্বোধনী বক্তব্যে অপকটে স্বীকার করেন, ‘বাংলাদেশের চিত্র শিল্পীদের সমসাময়িক চিত্রাঙ্কনের যে বিরাট সাফল্য তা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে এখনো তেমনভাবে সফল হতে পারিনি। সেই কাজটি করতে সকলেরই আন্তরিক একটি প্রয়াস প্রয়োজন।’ ফয়জুননেসা বলেন, ‘নিউইয়র্কে বাংংলাদেশ কন্স্যুলেট ভবন ক্রয়ের উদ্যোগ এখন খুবই সক্রিয়। সেটি বাস্তবায়িত হলে অবশ্যই সেখানে একটি ফ্লোর থাকবে বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যমণ্ডিত সংস্কৃতিকে যথাযথভাবে উপস্থাপনের জন্যে।’
ইতিমধ্যেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেন নিজস্ব ভবন ক্রয়ের জোর নির্দেশ প্রদান করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর গ্রীন সিগন্যালেই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওই নির্দেশ পাঠিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন ফয়জুননেসা।
‘এই প্রদর্শনী চলাকালেই নিউইয়র্কে বিভিন্ন দেশের কন্সাল জেনারেল নিয়ে আনবো এবং বাংলাদেশি শিল্পীদের শৈল্পিক চিন্তা-চেতনা সম্পর্কে একটি ধারণা দেব। আমি চাই বাংলাদেশের চিত্র-কলাকে আরও বেশি করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উপস্থাপন করতে’-উল্লেখ করেন কন্সাল জেনারেল।
জ্যাকসন হাইটস সংলগ্ন উডসাইডে (৬৭১৯ রুজভেল্ট এভিনিউ) নোঙর ফাউন্ডেশনের মিলনায়তনে চলমান এই প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রয়াত সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদ এবং খুরশিদ আলম সেলিমের শিল্পকর্মের প্রশংসা করে আরও বক্তব্য রাখেন প্রবীন সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ, চারণকবি বেলাল বেগ, আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা লাবলু আনসার এবং ভয়েস অব আমেরিকার নিউইয়র্ক প্রতিনিধি আকবর হায়দার কিরণ। সমাপনী বক্তব্য দেন এ প্রদর্শনীর ব্যবস্থাক এবং নোঙর টিভির সিইও জাহেদ শরিফ।
উল্লেখ্য, নিউইয়র্কে বসবাসরত খুরশিদ আলম সেলিমের এ যাবত ৩৫টি দেশে ৭০টিরও অধিক একক চিত্র প্রদর্শনী হয়েছে। কয়েক বছর আগে তিনি নিজ উদ্যোগে নিউইয়র্কে আর্ট গ্যালারি স্থাপন করেছেন।
প্রয়াত সৈয়দ আব্দুল্লাহ খালিদের কন্যা রুহি শরিফ ছিলেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। শহীদ দিবস এবং স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে চলমান এই চিত্র প্রদর্শনী নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রবাসীদের মধ্যে বেশ কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ভিনদেশিরাও আসছেন প্রদর্শনীতে।