হাকিকুল ইসলাম খোকন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি: “আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন, খুঁজি তারে আমি আপনায় ” প্রফেসর এই পংক্তিটি বুকে ধারণ করে মহা উৎসাহ উদ্দীপনায় বেথপেজ স্টেট পার্কের সবুজ চত্বরে সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন আয়োজন করেছিলো ” বনভোজন ২০১৮”।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের স্বত:স্ফুর্ত উপস্থিতিতে বনভোজনটি পারষ্পরিক সম্প্রীতির এক মনোমুগ্ধকর মিলনমেলায় পরিণত হয়। পার্কের সবুজ-শ্যামল মাটিতে শিশু-কিশোর ও বড়দের খেলাধুলা, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের অতীত স্মৃতি রোমন্থন, কুশলবিনিময়, অনুভূতি প্রকাশ এবং উচ্ছাসমুখর আনন্দঘন পরিবেশে দিনটিকে সকলে উপভোগ করেন। বনভোজনে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান ও বগুড়া পল্লী উন্নয়ন একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ড. আশরাফ উদ্দিন আহমেদ। উদ্বোধন করেন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর হোসাইন কবির। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর শহীদুল্লাহ কায়সার এবং একুশে চেতনা পরিষদ যুক্তরাষ্ট্র শাখার সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মামুন।
সংগঠনের সভাপতি এমএ আজিজ নঈমীর নেতৃত্বে বনভোজন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক গোলাম মোহাম্মদ মুহিত, প্রধান সমন্বয়কারী সংগঠনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক স্বপন দাস, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর শাহনেওয়াজ ডিকেন্স, সংগঠনের সাবেক সভাপতি পারভেজ কাজী, সংগঠনের সহ সভাপতি হাসান মাহমুদ, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাবিনা শারমিন নিহার, বনভোজন কমিটির যুগ্ম আহবায়ক অ্যাডভোকেট নাজনীন মামুন ও মুহাম্মদ এয়াকুবউদ্দিন চৌধুরী, বনভোজন কমিটির সদস্য সচিব এস. এম. ইকবাল ফারুকের তত্ত্বাবধানে অন্যান্যদের মধ্যে সার্বিক সহযোগিতা করেন – সংগঠনের সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম সগীর ও দিলওয়ার হাসান, প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক শামীম আল মামুন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সামশুদ্দীন আজাদ ও মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক এ. কে. আখতার হোসেন, আবদুল আউয়াল শামীম, অধ্যাপক নোয়াব মিয়া, অধ্যাপক লুৎফুর রহমান, চাকসুর সাবেক বার্ষিকী সম্পাদক অধ্যাপক সুদীপ্ত দেব, মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন, সন্দ্বীপ সোসাইটির সহ সভাপতি সাহাব উদ্দিন, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম সেলিম, শাহেদ আলী, মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম, আবুল কাসেম, সলিল চৌধুরী, শিবলী ছাদেক, মীর আহসান কাদের (রাসেল), রতন চৌধুরী, মোহাম্মদ আনোয়ারুল করিম, হাফিজুল ইসলাম (নাসির), মিনারা কাজী, পারভিন আকতার, সামশুন্নাহার শিল্পী, শিলা মুহিত, শিল্পী হাসান, আয়েশা ফারুক হ্যাপি ও রোকসানা আজিজ।
বনভোজনে ছেলেদের জমজমাট ফুটবল ও দৌঁড় প্রতিযোগিতা, মহিলাদের মিউজিকেল পিলু ও স্মৃতি পরীক্ষা প্রতিযোগিতা এবং বিভিন্ন বয়সী শিশু-কিশোরদের খেলাধুলা অনুষ্ঠিত হয়। বনভোজনে শিশু-কিশোরদের যেমন খুশী তেমন সাজো সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
বনভোজনে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়, বিকেলে পার্কের মনোমুগ্ধকর মায়াবী পরিবেশে সংগঠনের সভাপতি এম. এ. আজিজ নঈমীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন – সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাবিনা শারমিন নিহার।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন – প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. আশরাফ উদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর হোসাইন কবির, সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর শাহনেওয়াজ ডিকেন্স, সংগঠনের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক স্বপন দাস, রেজাউল করিম সগীর, পারভেজ কাজী, দিলওয়ার হাসান প্রমুখ। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ও র্যাফেল ড্র পরিচালনা করেন – এম. এ. আজিজ নঈমী, সাবিনা শারমিন নিহার, হাসান মাহমুদ, অধ্যাপক স্বপন দাস, অধ্যাপক গোলাম মোহাম্মদ মুহিত, এস. এম. ইকবাল ফারুক, অ্যাডভোকেট নাজনীন মামুন ও মুহাম্মদ এয়াকুবউদ্দিন চৌধুরী। র্যাফেল ড্র বিক্রি করে সংগঠনের তহবিল সংগ্রহে বিশেষ অবদান রাখেন – সামশুন্নাহার শিল্পী, শিলা মুহিত, শিল্পী হাসান ও আয়েশা ফারুক হ্যাপি, এজন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়।