হাকিকুল ইসলাম খোকন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ফিলিস্তিন ও ইসরায়েলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শহরের মেয়র বিল ডে ব্লাসিওসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা সংঘর্ষের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে সহিংস কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসার পরপরই ম্যানহ্যাটনের রকফেলার সেন্টারের সামনে দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। এতে আহত এক নারীসহ দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, ঘটনার ভিডিও চিত্র দেখে ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যক্রম পরিচালনা ও অবৈধ সমাবেশের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও চিত্রে উপস্থিত সমর্থকদের ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে সংঘর্ষে জড়াতে দেখা যায়। পতাকা পোড়ানো ও হাতাহাতির ঘটনাও ছিল। তবে কী কারণে বা কারা এই সংঘর্ষ শুরু করেছে তা এখনও অস্পষ্ট। এই সংঘর্ষের সঙ্গে জড়িত আরও পাঁচ থেকে ছয় জনকে পুলিশ খুঁজছে।
এক টুইটবার্তায় মেয়র বিল ডে ব্লাসিও বলেন, “আমাদের শহরে জাতিবিদ্বেষীদের জায়গা নেই। শুধু নাম-পরিচয়ের কারণে কারো বিরুদ্ধে সহিংসতা চালানো বরদাস্ত করা হবে না। এই জঘন্য হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের আমরা বিচারের মুখোমুখি করব।”
ফিলিস্তিনের ইসরায়েলের হামলার ঘটনায় নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে এবং রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। বেশিরভাগ সমাবেশে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের হামলা ও দখলদারিত্বের নিন্দা এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করা হয়।
গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরের কাছে ইসরায়েলি দূতাবাসের সামনে সমাবেশসহ শহরের বিভিন্ন এলাকায় একাধিক বিক্ষোভ হয়। তবে সেগুলো সব শান্তিপূর্ণ ছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পর নিউইয়র্কে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। সন্ধ্যায় ফিলিস্তিনিপন্থি ও ইসরায়েলপন্থি দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ জানায়, সংঘর্ষের সময় আতশবাজি পোড়ানো হয়েছে এবং একটি বাজির আঘাতে ৫৫ বছরের এক নারীর দেহের কিছুটা পুড়ে গেছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বেশ কয়েকজন স্থানীয় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি শুক্রবারের সংঘর্ষের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছেন। ম্যানহ্যাটনের একটি অংশের কাউন্সিলম্যান মার্ক লেভাইন সংঘর্ষের নিন্দা করে টুইটবার্তায় লিখেছেন, “এটা কাণ্ডজ্ঞানহীন এবং অগ্রহণযোগ্য। আমাদের শহরে আমরা এমন কোন কিছু ঘটতে দিতে পারি না।