হাকিকুল ইসলাম খোকন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি: ‘পদ্মা সেতু’র শুভ উদ্বোধনের ঐতিহাসিক মুহূর্ত যথাযথভাবে উদযাপনের জন্য বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, নিউইয়র্ক কনস্যুলেটে বাংলাদেশ সময়ের সাথে সঙ্গতি রেখে ২৫ জুন ২০২২ এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। নিউইয়র্কে বসবাসকারী বীর মুক্তযোদ্ধা, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, মিডিয়া নেতৃবৃন্দ ও কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশীদের অংশগ্রহণে কনস্যুলেটে এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। উপস্থিত সকলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পদ্মা সেতু’র শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচার উপভোগ করেন। এ ঐতিহাসিক মুহূর্ত সকলে মিলে একযোগে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আনন্দের সাথে উদযাপন করেন।
পরবর্তীতে কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনের ঐতিহাসিক মুহূর্ত উদযাপনে উপস্থিত সকল প্রবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান। পদ্মা সেতুকে আত্মবিশ্বাস ও প্রেরণার প্রতীক হিসাবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে নিজেদের অর্থায়নে পদ্মা সেতুর বাস্তবায়ন জাতি হিসেবে আমাদের এক অনন্য অর্জন, যা শুধুমাত্র আমাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতার পরিচয়ই বহন করে না, তা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাব-মূর্তি আরও উজ্জ্বল করেছে। পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এক নতুন গতি সঞ্চার করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণ ও দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের জেলার নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ স্থাপিত হওয়ায় এ অঞ্চলের বহুমুখী উন্নয়নে এ সেতুর গুরুত্ব অপরিসীম। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্পায়ন ও পর্যটন শিল্পে অগ্রগতিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে এ সকল জেলার উন্নয়নের জন্য নতুন দ্বার উন্মোচিত করার পাশাপাশি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে পদ্মা সেতু অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে কনসাল জেনারেল যোগ করেন। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে এ সেতু ইতিবাচক অবদান রাখবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
কনসাল জেনারেল এই পদ্মা সেতু নির্মানে প্রবাসীদের ভূমিকা, বিশেষ করে এ উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় প্রবাসীদের অবদানের কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ রূপকল্প এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ বাস্তবায়নে তিনি প্রবাসীদের ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বর্ণনা করে তাদেরকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার উদাত্ত আহবান জানান।
প্রবাসী বাংলাদেশীদের একসাথে এ ঐতিহাসিক মু্হূর্তটি উদযাপনের উদ্যোগ গ্রহণ ও আয়োজনের জন্য উপস্থিত অতিথিবৃন্দ কনস্যুলেটের প্রতি বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
আগত অতিথিদেরকে ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশী খাবার পরিবেশনের মধ্য দিয়ে এ অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।