হাকিকুল ইসলাম খোকন, নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি: বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে ২০ অক্টোবর ২০২০, মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির শহীদ মিনার চত্বরে জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন করা হয়। পরে সকাল সাড়ে ৯টায় বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগীয় চেয়ারম্যান, বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এসএম আনোয়ারা বেগম, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন দপ্তরের পরিচালক, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতির বক্তব্যে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবময় ঐতিহ্য রয়েছে। এ ঐতিহ্যকে বেগবান রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার মান আরও এগিয়ে নিতে হবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান বলেন, প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে স্থানীয় জনগণ এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে মেলবন্ধন ঘটে। ২০০৫ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হলেও মাত্র ৭.৫ একর জমির ওপর মূলত ২০১১ সাল থেকে এটি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম হল ‘বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের’ উদ্বোধন হলো। করোনা মহামারির পরই ছাত্রীরা হলে উঠতে পারবে। অবকাঠামোগত যে সংকট রয়েছে, নতুন ক্যাম্পাস হলে তাও কেটে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক সহায়তায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে কেরানীগঞ্জে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০ একর (প্রায়) ভূমির অধিগ্রহণ ও উন্নয়নের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে।
আলোচনা শেষে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে সংগীত বিভাগের উদ্যোগে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। এছাড়া ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচতলায় দিনব্যাপী প্রকাশনা প্রদর্শনী হয়। প্রদর্শনীতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান রচিত ‘সংকটে মার্কেটিং’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। সামগ্রিক দিক থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের অবদান অনন্য। উচ্চশিক্ষার পুণর্জাগরণে ও অসাধারণ নেতৃত্বের কারণে তিনি আগামীতেও স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।