প্রবাস মেলা ডেস্ক: না ফেরার দেশে চলে গেলেন প্রখ্যাত নাট্যনির্মাতা মোহন খান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। দীর্ঘদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর ৩০ মে ২০২৩, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার সময় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মোহন খানের বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর। ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মাসখানেকের বেশি সময় ধরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন তিনি। মোহন খানের গ্রামের বাড়ি নরসিংদী জেলায়। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
বুধবার বাদ যোহর লালমাটিয়া জামে মসজিদ (বিবি মসজিদ) প্রাঙ্গণে মোহন খানের জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানা গেছে।
বাংলা নাটকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বলা হয় মোহন খানকে। তার উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে আছে সমুদ্রে গাংচিল, গাংচিল ভালোবাসা, জোনাকীর গল্প, দূরের মানুষ, মধ্যরাতের অশ্বারোহী, বেলাভূমি, সমুদ্র সীমানায়। তার প্রয়াণে শোক জানাচ্ছেন নাট্যাঙ্গণের তারকা নির্মাতা থেকে শুরু করে অভিনয়শিল্পীরা।
উল্লেখ্য, দেশের নাট্য অঙ্গনে মোহন খানের বিচরণ ছিল তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে। তিনি ১৯৮৮ সাল থেকে নাটক নির্মাণ শুরু করেন। পাশাপাশি নাটক রচনাতেও মুন্সীয়ানা দেখিয়েছেন তিনি। তাঁর পরিচালিত প্রথম নাটক ‘আমার দুধমা’ বিটিভিতে প্রচার হয়। তাঁর লেখা ও পরিচালনায় নাটক ‘সমুদ্রে গাঙচিল’, ‘সেই আমরা’, ‘নীড়ের খোঁজে গাঙচিল’, ‘জেগে উঠো সমুদ্র’, ‘মেঘবালিকা’, ‘দূরের মানুষ’, ‘আঙ্গুর লতা’, ‘হৃদয়পুরের গল্প’ ইত্যাদি নাটক বানিয়ে তিনি প্রশংসিত হন। সর্বশেষ তিনি নাটক নির্মাণের পাশাপাশি এটিএন বাংলায় অনুষ্ঠান বিভাগের দায়িত্ব পালন করছিলেন।