রাজধানী : প্রিটোরিয়া (কার্যকরী)
ব্লমফনটেন (বিচার সংক্রান্ত)
কেপটাউন (আইন প্রণয়ন সংক্রান্ত)
বৃহত্তম শহর : জোহানেসবার্গ
রাষ্ট্রীয় ভাষা : ১১ টি
সরকার : সাংবিধানিক গণতন্ত্র
জনসংখ্যা : প্রায় ৫ কোটি
স্বাধীনতা : ১৯১০ সালে যুক্তরাজ্য থেকে
মুদ্রা : রেন্ড (ZAR)
সময় অঞ্চল : SAST (ইউটিসি+২)
কলিং কোড : ২৭
ইন্টারনেট টিএলডি : .Za
আরো কিছু তথ্য: দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারি নাম রিপাবলিক অফ সাউথ আফ্রিকা, দেশটি আফ্রিকা মহাদেশের সর্বদক্ষিণের অবস্থিত। যা নয়টি প্রদেশে বিভক্ত। ঐতিহাসিকভাবে বিংশ শতাব্দীর মধ্য হতে শেষ দশক পর্যন্ত এই দেশটি বর্ণবাদের জন্য সারাবিশ্বে নিন্দিত ছিল। দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বের কিছু খুবই প্রাচীন জীবাশ্ম ও প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন দেখা যায়। এধঁঃবহম চৎড়ারহপব এর অনেক গুহায় বাদবাকি বিস্তৃত জীবাশ্ম পাওয়া গেছে। এটি ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট এর অন্তর্ভুক্ত। দক্ষিণ আফ্রিকায় যারা প্রথমে বসতি স্থাপন করে তারা স্যান নামে পরিচিত। এরপর আসে খৈ খৈ ও বান্টু ভাষার লোকজন। আফ্রিকার অন্যান্য অঞ্চল থেকে এরা যাযাবর হিসেবে এখানে আসে। ১৫০০ খ্রিষ্টাব্দে কেপ সাগরপথ আবিষ্কারের দেড়শ’ বছর পর ১৬৫২ খ্রিষ্টাব্দে হল্যান্ডের ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এখানে একটি বিশ্রামকেন্দ্র স্থাপন করে। পরে সেটাকেই কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে কেপটাউন শহর। তখন সেখানে বাস করত স্থায়ী জোনা ও জুলু সম্প্রদায়।
দক্ষিণ আফ্রিকার রয়েছে তিনটি রাজধানী শহর। তিনটির মধ্যে সবচেয়ে বড় কেপটাউন আইনসভার রাজধানী। প্রিটোরিয়া প্রশাসনিক ও ব্লোয়েমফেন্টেইন বিচারিক রাজধানী। দক্ষিণ আফ্রিকার পার্লামেন্ট দ্বিকক্ষবিশিষ্ট। ১৯৯৪ সালে বর্ণবাদ বিলুপ্তির পর থেকে দক্ষিণ আফ্রিকার রাজনীতিতে একচ্ছত্র প্রাধান্য বজায় রেখেছে আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস বা এএনসি। তবে বর্ণবাদ চালু করেছিল যে ন্যাশনাল পার্টি, সেটার পুনর্গঠিত সংগঠন নিউ ন্যাশনাল পার্টি ২০০৫ সালের এপ্রিলে এএনসি’র সাথে একীভূত হয়ে যায়।
জাতিসংঘের শ্রেণীবিন্যাস অনুযায়ী দক্ষিণ আফ্রিকা একটি মধ্য আয়ের দেশ। এখানে রয়েছে প্রচুর সম্পদ। তেমনি এখানকার অর্থ আইন, যোগাযোগ, জ্বালানি ও যাতায়াতব্যবস্থা বেশ উন্নত। দক্ষিণ আফ্রিকা এ মহাদেশের সবচেয়ে বড় জ্বালানি উৎপাদনকারী ও ব্যবহারকারী দেশ। পর্যটনের জন্য দেশটি খুব প্রসিদ্ধ এবং রাজস্বেও উল্লেখ্যযোগ্য অংশ আসে পর্যটনখাত থেকে। প্রধান রফতানি দ্রব্য খাদ্যশস্য, হীরক, ফল, স্বর্ণ, ধাতব ও খনিজ দ্রব্য, চিনি ও উল। সমাজ ও সংস্কৃতি দক্ষিণ আফ্রিকার বাসিন্দাদের নৃতাত্ত্বিক বৈচিত্র্যের কারণে এখানে কোনো একক সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি। খাদ্যের বৈচিত্র্যই পর্যটকদের অন্যতম প্রধান আকর্ষণের বিষয়।
দক্ষিণ আফ্রিকার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক: দক্ষিণ আফ্রিকা এবং বাংলাদেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে। প্রিটোরিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশন রয়েছে। ১৯৯৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর উভয় দেশ সরকারিভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু করে। বিভিন্ন সূত্র মতে, দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রায় ৮০ হাজার বাংলাদেশি রয়েছে।