রাজধানী : কাবুল
রাষ্ট্রীয় ভাষাসমূহ : পশতু, দারি (ফার্সি)
সরকার : ইসলামী প্রজাতন্ত্র
স্বাধীনতা : ১৯১৯ যুক্তরাজ্য থেকে
জনসংখ্যা : প্রায় ৩ কোটি
আয়তন : ৬,৫২, ৮৬৪ কি. মি
মুদ্রা : আফগানি
সময় অঞ্চল : (ইউটিসি+৪.৩০)
গ্রীষ্মকালীন (ডিএসটি) (ইউটিসি+৪.৩০)
কলিং কোড : ৯৩
ইন্টারনেট টিএলডি :.AF
আরো কিছু তথ্য: আফগানিস্তান দক্ষিণ এশিয়ার একটি রাষ্ট্র। আফগানিস্তানকে অনেক সময় দক্ষিণ এশিয়া এবং মধ্যপ্রাচ্যের অংশ হিসেবেও গণ্য করা হয়। আফগানিস্তানের পূর্বে ও দক্ষিণে পাকিস্তান, পশ্চিমে ইরান, উত্তরে তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান ও তাজিকিস্তান এবং উত্তর-পূর্বে গণচীন। আফগানিস্তান শব্দটির অর্থ “আফগান (তথা পশতুন) জাতির দেশ”। দেশটির অধিকাংশ এলাকা পর্বত ও মরুভূমিতে আবৃত। পর্বত উপত্যকাগুলো আর উত্তরের সমভূমিতেই কেবল গাছপালার দেখা মেলে।
আফগানিস্তান প্রাচীনকাল থেকেই এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিস্থল হিসেবে পরিচিত। বহু প্রাচীন বাণিজ্য ও বহিরাক্রমণ এই দেশের মধ্য দিয়েই সংঘটিত হয়েছে। আফগানিস্তানে বসবাসরত সবচেয়ে বড় জনগোষ্ঠী হল পশতু জাতি। এরা আগে আফগান নামেও পরিচিত ছিল। তবে বর্তমানে আফগান বলতে কেবল পশতু নয়, জাতি নির্বিশেষে রাষ্ট্রটির সব নাগরিককেই বোঝায়।
১৭৪৭ সাল থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানে রাজতন্ত্র বিদ্যমান ছিল। এরই মাঝে দেশের রাজধানী কান্দাহার থেকে কাবুলে স্থানান্তরিত করা হয় এবং দেশটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের কাছে অনেক অঞ্চল হারায়। ১৯ শতকে দেশটি ব্রিটিশ ভারতীয় সাম্রাজ্য ও রুশ সাম্রাজ্যের মধ্যে এক বিরাট খেলার মধ্যবর্তী ক্রীড়ানক রাষ্ট্রে পরিণত হয়। ১৯৭৩ সালে একটি সামরিক অভ্যুত্থানে সামরিক অফিসারেরা রাজার পতন ঘটান এবং একটি প্রজাতন্ত্র গঠন করেন। ১৯৭০-এর দশকের শেষের দিকে আফগানিস্তানে এক দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ শুরু হয়। গৃহযুদ্ধে হস্তক্ষেপের অভিপ্রায়ে ১৯৭৯ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন আফগানিস্তান আক্রমণ করে এবং সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৮৯ সালে সোভিয়েতরা আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করে নেয় এবং এর সাথে সাথে দেশটিতে আবার গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়।
১৯৯৬ সালে তালেবান নামের মুসলিম মৌলবাদীগোষ্ঠী কাবুল দখল নেয়। তালেবান সন্ত্রাসবাদী দল আল-কায়েদাকে আফগানিস্তানে আশ্রয় দেয়। ১১ সেপ্টেম্বর, ২০০১-এর সন্ত্রাসী হামলার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগানিস্তান আক্রমণ করে এবং ২০০১-এর শেষে তালেবানদের উৎখাত করে। ২০০৪ সালে আফগানিস্তানের সংবিধান নতুন করে লেখা হয় এবং একটি রাষ্ট্রপতিভিত্তিক গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থা চালু হয়।
আফগানিস্তানের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক: বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে আফগানিস্তান তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান থেকে এ দেশের সাধারণ মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে সহযোগিতা করেছিলো। বাংলাদেশের অনেক এনজিও প্রতিষ্ঠান আফগানিস্তানের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করছে। তার মধ্যে ব্র্যাক, আশা উল্লেখযোগ্য। এছাড়া আমাদের দেশে কয়েকশ আফগান শিক্ষার্থী পড়ালেখা করছে। আফগানিস্তানে বাংলাদেশের পাট, সিরামিক ও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের বেশ চাহিদা রয়েছে।