দেশের নাম : সুইজারল্যান্ড
রাজধানী : বার্ন
বৃহত্তম শহর : জুরিখ
রাষ্ট্রীয় ভাষা : জার্মান, ফরাসি, ইতালীয়, রোমানশ
সরকার : গণতন্ত্র (যুক্তরাষ্ট্রীয় প্রজাতন্ত্র)
স্বাধীনতা : ১২ সেপ্টেম্বর ১৮৪৮
জনসংখ্যা : প্রায় ৮৫ লক্ষ
মুদ্রা : সুইস ফ্রাংক
সময় অঞ্চল : CET (ইউটিসি+ ১)
গ্রীষ্মকালীন (ডিএসটি) CEST (ইউটিসি+ ২)
কলিং কোড : +৪১
ইন্টারনেট টিএলডি : .ch
আরো কিছু তথ্য: সুইজারল্যান্ড ইউরোপ মহাদেশে অবস্থিত বিশ্বের অন্যতম একটি ধনী দেশ। তবে দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য নয়। এটি ইউরোপের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত যে কারণে দেশটিকে ইউরোপের হৃৎপিন্ডও বলা হয়। সুইজারল্যান্ডকে কেন্দ্র করে ইউরোপ ভ্রমণ সহজ হয়। সুইজারল্যান্ডের উত্তরে জার্মানি, দক্ষিণে ইতালি, পূর্বে অস্ট্রিয়া, পশ্চিমে ফ্রান্স, উত্তর-পশ্চিমে লন্ডন, দক্ষিণ-পশ্চিমে স্পেনের বার্র্সেলোনা শহর অবস্থিত।
বার্ন শহরটি সুইজারল্যান্ডের রাজধানী হলেও বিখ্যাত অন্য দুটি শহর হলো জুরিখ এবং জেনেভা। জেনেভাকে বলা হয় বিশ্বের সম্মেলনের শহর। আল্পস পর্বতমালা ও প্রশস্ত হ্রদ সুইজারল্যান্ডকে অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে রূপে ভ‚ষিত করেছে। সুইজারল্যান্ড বিশ্বের পর্যটকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণীয় একটি দেশ।
সুইজারল্যান্ডের ঘড়ি, ট্রেন এবং চকলেটের খ্যাতি বিশ্বজোড়া। তবে সুইস ব্যাংকসমূহ পৃথিবীর সকল দেশের কালো টাকা নিরাপদের সংরক্ষণের জন্য কুখ্যাত। দেশটির কোন নিয়মিত সেনাবাহিনী নেই। দেশটির রাজনৈতিক অবস্থা ভারসাম্যমূলক ও অত্যন্ত সুস্থির। সুইস সরকারের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো প্রতিবছর ১ জানুয়ারিতে এর রাষ্ট্রপতি পরিবর্তিত হয়। ছয় বৎসরের জন্য গঠিত মন্ত্রীপরিষদের একজন মন্ত্রী পালাক্রমে এক বৎসরের জন্য রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।
বাংলাদেশ-সুইজারল্যান্ড-সম্পর্ক: বাংলাদেশ সুইজারল্যান্ড এর মধ্যকার দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক যথেষ্ট শক্তিশালী। দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিমাণ সাম্প্রতিককালে বেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। যেখানে দু’শের বহু গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। দেশটিতে আট থেকে দশ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি আছেন বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়।