কামাল পারভেজ অভি, মক্কা, সৌদিআরব প্রতিনিধি: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া সৌদি আরবে নির্যাতিতা বাংলাদেশী গৃহকর্মী সুমি আক্তার(২৬) কে গত ৪ নভেম্বর জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল ও নাজরান পুলিশ প্রধানের সহযোগিতায় অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারের পর সুমির দেশে যাওয়া নিয়ে শুরু হয় নানা জটিলতা।
এ দিকে সুমির নিয়োগকর্তা সৌদি কফিল সুমিকে সৌদিআরবে নিয়ে আসা পর্যন্ত তার খরচ বাবদ (২২.০০০) বাইশ হাজার সৌদি রিয়্যাল দাবি করেছেন। অন্যথায় তিনি সুমি কে ফাইনাল এক্সিট বা দেশে যাওয়ার অনুমতি দিবেন না বলে জানিয়েছিলেন।
অবশেষে সব জল্পনা কল্পনার অবসানের পর গতকাল রবিবার ১১ নভেম্বর জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের প্রথম সচিব কে এম সালাহ উদ্দিনের সাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নাজরান শহরের শ্রম আদালতে জেদ্দা কনস্যুলেট এর প্রতিনিধির উপস্থিতিতে সুমি আক্তারের বিষয়টির শুনানি হয়। এতে সুমির নিয়োগ কর্তার দাবিকৃত ২২ হাজার সৌদি রিয়াল ফেরত দেয়ার বিষয় টি না মঞ্জুর হয়। পাশাপাশি জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেটের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুমির কপিল তাকে কে দেশে ফেরার জন্য ফাইনাল এক্সিট প্রধান করেন।
সুমি আক্তারকে জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেটের প্রচেষ্টায় ওয়াজ আনার্স কল্যাণ বোর্ড ঢাকার অর্থায়নে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই সুমি আক্তার নিজ দেশে ফিরে যাবেন। এর আগে জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেটের একটি প্রতিনিধি দল সুদূর নাজরানে সুমি আক্তারের সাথে দেখা করেন এবং সুমি আক্তার তাকে উদ্ধারের জন্য জেদ্দা কনস্যুলেট সহ বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানান।