প্রবাস মেলা ডেস্ক: চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেই আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় খল-অভিনেতা ও প্রযোজক মনোয়ার হোসেন ডিপজল। এর আগে ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, মঙ্গলবার চিকিৎসা গ্রহণ শেষে দেশে ফিরেছেন তিনি। এক ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এ অভিনেতা নিজেই। দেশে ফিরেই বিদেশি সিনেমার বিরুদ্ধে আন্দোলনের নামার ঘোষণা দিয়েছেন ডিপজল। সম্প্রতি বলিউডের বেশ কিছু সিনেমা দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। যার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন এ অভিনেতা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের চলচ্চিত্রকে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য একটি চক্র উঠেপড়ে লেগেছে। আমরা দেখেছি হিন্দি সিনেমা মুক্তি দেয়ার ফলে নেপালের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি কীভাবে ধ্বংস হয়ে গেছে। দেশটির সমৃদ্ধ সিনেমা হিন্দি সিনেমার কবলে পড়ে বিলীন হয়ে গেছে। আমাদের দেশে যদি একের পর এক হিন্দি সিনেমা চালানো হয়, তাহলে দেশের চলচ্চিত্রও ধ্বংস হয়ে যাবে। আমাদের নিজস্ব ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বলে কিছু থাকবে না।’
এর আগে শাহরুখ খানের ‘পাঠান’ ও ‘জওয়ান’ সিনেমা দুটি দেশের প্রেক্ষাগৃহে ভালো ব্যবসা করেছে। অন্যদিকে বর্তমানে শাহরুখের ‘ডাঙ্কি’ সিনেমা মুক্তির প্রস্তুত চলছে। আর এ নিয়ে শাহরুখ ফ্যানদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। তবে দেশের প্রেক্ষাগৃহে হিন্দি সিনেমা মুক্তি দেয়ার বিষয়টি মেনে নিতে নারাজ ডিপজল।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি শুরু থেকে বলে আসছি, বিদেশি সিনেমা আমাদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে ধ্বংস করবে। আমাদের সিনেমা নির্মাণের প্রবণতা কমে যাবে; তাই হচ্ছে। এভাবে চলতে দেয়া যাবে না। এর বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনে যেতে হবে। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন; এখন সবাই নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। নির্বাচনের পর বিদেশি সিনেমার বিষয়টি নিয়ে আমরা আন্দোলনের ডাক দেব। আমি মনে করি, এর একটি সুরাহা হওয়া খুব জরুরি।’
ডিপজল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৯৩ সালে ‘টাকার পাহাড়’ সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন তিনি।
ডিপজলের উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে হাবিলদার, যেমন জামাই তেমন বউ, জিম্মি, ঘরভাঙ্গা সংসার, আক্রোশ, অমানুষ হলো মানুষ, বাংলার হারকিউলিস প্রভৃতি।