প্রবাস মেলা ডেস্ক: দুর্নীতিতে জড়িত থাকার দায়ে নিজের চিফ অব স্টাফের আটকের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী অ্যান্তোনিও কস্তা বলেছেন, তিনি পদত্যাগ করছেন। দেশে লিথিয়াম উত্তোলন ও হাইড্রোজেন প্রকল্পে দুর্নীতি সংশ্লিষ্টতায় চিফ অব স্টাফ গ্রেপ্তার হন।
প্রসিকিউটররা বলছেন, কস্তাকে নিয়ে আলাদাভাবে তদন্ত করা হবে। প্রেসিডেন্ট মারসেলো রেবেলো ডি সুসার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে মঙ্গলবার তাদের টিভিতে দেওয়া বিবৃতিতে এমনটি জানানো হয়েছে।
৬২ বছর বয়সী কস্তা ২০১৫ সাল থেকে পর্তুগালের সমাজতান্ত্রিক নেতা। তিনি তার ওপর আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, বিচার বিভাগের ওপর আমার আস্থা আছে। যদি কোনো সন্দেহ থাকে, তাহলে বিচার বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ খতিয়ে দেখতে পারে… আমি আইনের ঊর্ধ্বে নই।
প্রেসিডেন্ট মার্সেলো প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। এদিকে বিরোধীরা অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে পর্তুগিজ পুলিশ চিফ অব স্টাফ ভাইটর এসকারিয়াকে আটক করে। দুর্নীতির তদন্তে বেশ কয়েকটি সরকারি ভবনে অভিযান চলাকালে তিনি গ্রেপ্তার হন।
প্রসিকিউটররা অবকাঠামোমন্ত্রী জোয়াও গালাম্বাকে সন্দেহভাজন হিসেবে দেখছেন এবং কস্তার চিফ অফ স্টাফকে আটক করেন। দেশটির পরিবেশ সংস্থার প্রধানও সন্দেহভাজন হিসেবে রয়েছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটরের কার্যালয় বলছে, দেশের সুপ্রিম কোর্ট প্রধানমন্ত্রী নাম ব্যবহার এবং তার সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।