শাহ্জাহান চঞ্চল:
(আমার বন্ধু সুস্মিতা’র উদ্দেশ্যে, যে আমার একটি কবিতার নায়িকা হবার শখ প্রকাশ করেছে)।
তোমাকে রাধা বানিয়ে কবিতা লেখা
যতটা সহজ ভেবেছিলাম, ততটা নয়।
ঝরণা কলম হাতে ধরতেই, তা হয়ে যায়
রূপকথার পাথর।
নীল নদের উত্তাল ঢেউ আমাকে ভাসায়;
জ্বলে উঠে আলেকজান্দ্রিয়ার বাতিঘর
সম্রাজ্ঞী নেফ্রোদিতি এসে দাঁড়ায় সামনে।
নাশপাতি আপেলের বনে বাতাস করে কানাকানি;
শ্যামল গাঙিয় দ্বীপে আমি দেখি পিরামিডের সারি।
এতোসব ছাপিয়ে একটি ভেঁজা কণ্ঠস্বর
আমার কানে মন্ত্র পড়তেই তন্দ্রাভূত হই;
সাতগোছা দীঘল চুল দোল খেতে থাকে
আমার মুখের উপর।
স্বর্গীয় হয় আমার স্বপ্ন, দ্যূতিমান হয়
একটি মানবী মূর্তি, আমার সামনে।
পরিশুদ্ধ সেই মানবীর চোখ সাগরে ডুব দিতেই
কবিতা পালায়।
আমি কবিতা কবিতা বলে হাহাকার করে উঠি;
তখন সামনে এসে দাঁড়াও তুমি,
পৃথিবীর তাবৎ আবেগ জড়ো করে প্রশ্ন ছুঁড়ে দাও
কবি, আমি কী এখনো কবিতা হয়ে উঠিনি তোমার কাছে?