সিউল, দক্ষিণ কোরিয়া: দক্ষিণ কোরিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ব্যাচেলর অব আর্টস (বি.এ)-এর সনদপত্র অর্জনের সুযোগ উন্মুক্ত হয়েছে। ২৩ সেপ্টেম্বর সোমবার ২০১৯ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এম.পি. একটি অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই নতুন সম্ভাবনার উদ্বোধন করেন। এর ফলে দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থানরত বাংলাদেশিরা বিশেষ করে ইপিএস কর্মীরা এদেশে বসেই বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মোট ০৬ সেমিস্টারে (প্রতি সেমিস্টারের মেয়াদ ৬ মাস) ২০ (বিশ) টি কোর্স অধ্যায়নের মাধ্যমে ০৩ (তিন) বছর মেয়াদী ব্যাচেলর অব আর্টস (বি.এ)-এর সনদপত্র অর্জনের সুযোগ লাভ করবেন।
সংক্ষিপ্ত সময়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় সরকারি সফররত শিক্ষা মন্ত্রী, ডা: দীপু মনি এমপি. ইপিএস কর্মীদের সাথে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ সুযোগ লাভের দ্বার উন্মোচন করেন। শিক্ষা মন্ত্রী ইপিএসকর্মীদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সকালে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম, কাউন্সেলর মোহাম্মদ মাসুদ রানা চৌধুরী, মকিমা বেগম, প্রথম সচিব (শ্রম) উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থানরত ১৩৩০০ বাংলাদেশি কর্মীদের অধিকাংশই বয়সে তরুণ এবং তারা অনেকেই শিক্ষা জীবন অসমাপ্ত রেখে উন্নত জীবনের আশায়, বেকারত্ব ঘুচাতে দক্ষিণ কোরিয়ায় আসেন। এদেশে অবস্থানকালে তাঁদের অনেকেই চাকরির পাশাপাশি লেখাপড়া চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক। তাছাড়া, উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হলে তা ভিসার শ্রেণী পরিবর্তনের মাধ্যমে দীর্ঘ সময় দক্ষিণ কোরিয়ায় বৈধভাবে অবস্থানের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।
উল্লেখ্য যে, দক্ষিণ কোরিয়ায় অবস্থানকারী বাংলাদেশ ইপিএস কর্মীদের উচ্চশিক্ষার পথ সুগম করার লক্ষে এবং বৈধ উপায়ে ভিসার শ্রেণী পরিবর্তন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস, সিউল ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে গত ০১ এপ্রিল ২০১৯ থেকে অনলাইনে এইচএসসি প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে।
বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালুর এটিই ছিল প্রথম উদ্যোগ। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ দূতাবাস, সিউল এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ সহযোগিতায় তিন বছর মেয়াদী অনলাইন এই শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাচেলর অব আর্টস (বি.এ)-এ ভর্তিচ্ছু প্রার্থীদের আগামী ০৩ নভেম্বর ২০১৯ এর মধ্যে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। কোর্সটি আগামী ০১ ডিসেম্বর ২০১৯ থেকে শুরু করা হবে। প্রাথমিকভাবে ৭০ জন বাংলাদেশি ইপিএস কর্মী এই কোর্সে অংশগ্রহণের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ সরকারের ‘সবার জন্য শিক্ষা’ এ নীতির আলোকে বিদেশে বসে দেশের সমমানের ডিগ্রী লাভের এই সুযোগ কোরিয়-প্রবাসী বাংলাদেশিরা গ্রহণ করে দেশের উন্নয়নে আরও অধিকতর অবদান রাখবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।