অসীম বিকাশ বড়ুয়া, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে: দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে ইন আগামী জুন মাসে যুক্তরাজ্যের জি-৭ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য এবং কোরিয়ার চলমান করোনার টিকাদান কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে করোনা ভাইরাসের টিকা নিয়েছেন।
তাঁর সফরসঙ্গী হিসেবে যুক্তরাজ্যের সম্মেলনে যাবেন মুনের স্ত্রী সহ আরও নয়জন সহযোগী। ২৩ মার্চ ২০২১, মঙ্গলবার ৬৮ বছর বয়সী মুন রাজধানী সিউলে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের নিকটবর্তী একটি কমিউনিটি ক্লিনিকে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন।
মুনের কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, যুক্তরাজ্যের সফরে স্ত্রী ছাড়াও সহযোগিদের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রয়েছেন। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জি-৭ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের নেতাদের।
আগামী জুন মাসের মধ্যে কোরিয়ার এক চতুর্থাংশ নাগরিককে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যে টিকা দানের কার্যক্রমকে আরও সম্প্রসারিত করেছে দেশটি।স্বাস্থ্যকর্মী ও ৬৫ বছরের বেশি বয়স্ক নাগরিকদের টিকার আওতায় এনে শীঘ্রই দেশটির নার্সিংহোম এবং কেয়ার হাসপাতালের প্রায় দশ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে। এ উপলক্ষে আরও দশহাজার টিকাদান কেন্দ্র স্থাপনের কাজ শুরু করেছে দেশটির সরকার।
গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহে টিকাদান কর্মসূচী শুরু করার পর থেকে দক্ষিণ কোরিয়াতে এখন পর্যন্ত ছয় লাখ ৮০ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। আগামী নভেম্বরের মধ্যে ৯০ ভাগ লোককে টিকা দেওয়ার জন্য দেশটি হার্ড ইমিউনিটি অর্জন সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির সাথে যৌথভাবে টিকাটি উদ্ভাবন করেছে যুক্তরাজ্যে ও সুইডেন ভিত্তিক ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রজেনেকা।
সম্প্রতি বেশ কিছু দেশ শরীরে রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কায় অ্যাস্ট্রজেনেকার টিকাদান স্থগিত করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই টিকার প্রয়োগ বন্ধ না করে চালিয়ে যাওয়া উচিত। বর্তমানে বিভিন্ন দেশে আবারও এই টিকার প্রয়োগ শুরু করা হয়েছে। তবে অ্যাস্ট্রজেনেকা, ইউরোপিয়ান ঔষধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা, যুক্তরাজ্যের ঔষধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায় এই টিকা কার্যকর ও নিরাপদ।