অসীম বিকাশ বড়ুয়া, সিউল, দক্ষিণ কোরিয়া প্রতিনিধি: বর্তমানে কোরিয়ায় আওয়ামীলীগের চারটি কমিটি রয়েছে। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দক্ষিণ কোরিয়ায় আসেন তখন আওয়ামীলীগের কোন কমিটি ছিলেন ছিল না। কোরিয়ায় তখন প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনা দিয়েছিলো স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ।
প্রধানমন্ত্রী কোরিয়া থেকে যাওয়ার পরে আস্তে আস্তে দক্ষিণ কোরিয়া আওয়ামীলীগের কর্মীদের মধ্যে মনোমালিন্য দানা বাঁধতে থাকে এবং গ্রুপিং সৃষ্টি হয়। কেউ কেউ জামাত বিএনপিকে সাথে নিয়েও আওয়ামীলীগের কমিটি ঘোষণা করেন। মূলত ২০১৬ সালে দেশ থেকে রাজনীতি করা কিছু লোকজন কোরিয়ায় আগমণ ঘটে এবং তারাই একটি শক্তিশালী আওয়ামীলীগের কমিটি গঠন করেন এবং তখন কথা ছিল প্রতি দুই বছর পর পর সম্মেলন হবে। কিন্তু বিগত ছয় বছর হয়ে যাওয়ার পরেও সভাপতি, সেক্রেটারি সম্মেলন দিতে রাজি নয় বিধায়, আস্তে আস্তে নেতারা আলাদা আলাদা ভাবে নতুন করে কমিটি সৃষ্টি করেন। এসব বিভেদ দেখে সত্যিকারে যারা আওয়ামী লীগকে ভালবাসে তারা কোন কমিটির সহিত যোগ না দিয়ে নিরপেক্ষ থাকেন এবং সবাইকে এক কাতারে আসার জন্য আহ্বান জানান। তাদের এই আহবানে কেউ আসতে চায় কেউ দ্বিমত পোষণ করেন।
পরিশেষে নিরপেক্ষ এই গ্রুপ দক্ষিণ কোরিয়ায় আওয়ামীলীগের একটি সমন্বয়ক কমিটি গঠন করেন। তাদের ইচ্ছে সব গ্রুপের বাদ বিবাদ ভুলে এক কাতারে এসে একটি কমিটি গঠন করা হবে, সারা কোরিয়ার আওয়ামীলীগ কর্মীদের নিয়ে।
সমন্বয়ক কমিটি দেখে সত্যিকারের আওয়ামী লীগের নিরব থাকা কর্মীরা অত্যন্ত আনন্দিত হয়ে এই কমিটিকে স্বাগত জানায়। সবার ইচ্ছা এই সমন্বয়ক কমিটির মাধ্যমে কোরিয়ায় একটি শক্তিশালী আওয়ামী লীগের সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হবে।