প্রবাস মেলা ডেস্ক: অর্থ পাচারের অভিযোগে ৫ বাংলাদেশিকে আটক করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশ। এক কোটি ১০ লাখ র্যান্ড যা প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগ করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এদের মধ্যে ৩ জন কারাগারে আর বাকি দু’জন জরিমানা দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন। নর্দার্ন কেপ হকসের মুখপাত্র কর্নেল তেবোগো থিবে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
১ নভেম্বর ২০২৩, শুক্রবার স্থানীয় গণমাধ্যম সানডে ওয়ার্ল্ডে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ১ কোটি ১০ লাখ র্যান্ড বা প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা জালিয়াতির অভিযোগে দক্ষিণ আফ্রিকার একটি আদালতে দুই বাংলাদেশিকে হাজির করা হয়। পরে আদালত ২০ হাজার র্যান্ড বা ১ লাখ ১৮ হাজার টাকার বিনিময়ে জামিন দিয়েছেন দুই আসামিকে। একই ঘটনায় মার্চে, তিন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকান পুলিশ। যারা এখনো দক্ষিণ আফ্রিকার কারাগারে আছেন।
গত বৃহস্পতিবার দেশটির কিম্বারলিতে অবস্থিত বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অপরাধ আদালতে হাজিরা দেন সর্বশেষ গ্রেপ্তার হওয়া ৩৩ বছর বয়সী বাংলাদেশি রিপন ইউনুস ও ৩৪ বছরের আশরাফ গুলামমাহাদ প্যাটেল। অর্থ পাচারের অভিযোগে গত বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকার পুলিশের বিশেষায়িত ‘হকস’ বাহিনীর সদস্যরা তাদের গ্রেপ্তার করে।
নর্দার্ন কেপ হকসের মুখপাত্র কর্নেল তেবোগো থিবে জানান, এ বছর মার্চে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা তাদের দোকানে ব্যবহৃত একটি ব্যাংকিং প্রক্রিয়ায় কারচুপি করেছিলেন। এ ঘটনায় ইউনুস ও প্যাটেলকে সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে এর আগে গত মার্চেই একই অভিযোগে আমিনুল ইসলাম (৩৯), ফজি উল্লাহ (৩৬) ও আতিকা আক্তারকেও (২৩) গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। মার্চে আটককৃতদের কিম্বারলি বিমানবন্দরে জোহানেসবার্গ থেকে দুবাই গামী একটি ফ্লাইট থেকে আটক করা হয়। এখনো তারা কারাগারে আটক আছেন। তারা দুবাই হয়ে ঢাকায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছিলেন।
জালিয়াতির বিষয়ে থিবে জানান, নিজেদের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত ব্যাংকিং প্রক্রিয়ার অভিযুক্তরা কয়েকবার ৫ লাখ ৬০ হাজার র্যান্ড (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩৩ লাখ টাকা) করে স্থানীয় এবং দেশের বাইরের একাধিক অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করতে থাকেন। এভাবে একে একে তারা ১ কোটি ১০ লাখ র্যান্ড পাচার করেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় সাড়ে ছয় কোটি টাকা।
থিবে জানান, কিম্বারলির বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অপরাধ আদালত ইউনুস ও প্যাটেলকে জামিন দিয়েছেন এবং অভিযুক্ত পাঁচজনকেই একসঙ্গে হাজির করার জন্য ২০২৪ সালে ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মামলাটি মুলতবি করেছেন। তারা বৈধভাবে দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থান করছেন কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানায় পুলিশ।
সূত্র: আরটিভি।