মার্ক রায়, তুলুজ, ফ্রান্স প্রতিনিধি: বাংলা ১৪৩১ বর্ষবরণ উৎসবে প্রাণের ছোঁয়ায় মেতে উঠেছিল ফ্রান্সের তুলুজ শহরে বসবাসরত প্রবাসী বাঙালিরা। `মুছে যাক, গ্লানি ঘুচে যাক জরা অগ্নি স্নানে শুচি হোক ধরা’ এমন প্রত্যাশায় পহেলা বৈশাখে ঘিরে “বাংলাদেশি প্রবাসী খ্রিস্টান এসোসিয়েশন”-এর এই আনন্দঘন অনুষ্ঠানে আয়োজনের কমতি ছিল না। ইলিশ মাছের সাথে হরেক রকম ভর্তা, দেশীয় বিভিন্ন পিঠা, দই -মিষ্টি, আলোচনা ও আনন্দ অনুষ্ঠান ইত্যাদি। প্রবাসে বৈরী আবহাওয়ার দরুন একটু দেরিতে হলেও দুপুরে রোদ ওঠার সাথে সাথে সকল বয়সী নারী-পুরুষ এবং শিশুরা হরেক রঙের পোশাক পরে নববর্ষকে বরণ করার জন্য নানা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে। সকলের খুনসুটি দেখে মনে হচ্ছিল প্রবাসের মাটিতে এ যেন একখণ্ড বাংলাদেশ।
সংগঠনের সহ-সাধারণ সম্পাদক রিকি পি. রোজারিও এর উপস্থাপনায় শুরুতেই সম্মিলিত গানের মাধ্যমে বৈশাখকে স্বাগত জানানো হয়। আলোচনা পর্বে সংগঠনের সভাপতি যোসেফ ডি’কস্তার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সাধারণ সম্পাদক- মার্ক রায়, সিনিয়র সদস্য- ক্যান্টন কস্তা, জে.বুলবুল গমেজ, প্রচার সম্পাদক-পংকজ গমেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক- রকি রোজারিও তুষার সি.কস্তা সহ অন্যান্যরা।
সাধারণ সম্পাদক তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন- পহেলা বৈশাখ বাঙালির একটি সার্বজনীন লোক উৎসব। বাংলা বর্ষপঞ্জিতে যুক্ত হলো নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩১। আসুন আমরা নতুন ভাবে, নব উদ্যোগে ভালোবাসাময় সুন্দর পৃথিবী গড়ি।
সভাপতি যোসেফ ডি’কস্তা তার বক্তব্যের শুরুতেই সকলকে পহেলা বৈশাখ শুভেচ্ছা প্রদান করেন। এই অনুষ্ঠানকে সাফল্য মন্ডিত করার জন্য তিনি সকলকে ধন্যবাদ জানান। তিনি উল্লেখ করেন যে- দূর প্রবাসে প্রচন্ড কর্মব্যস্ততার মাঝে এই মিলনমেলা যেন এক চিলতে আনন্দের খোরাক এবং নতুন প্রজন্মের জন্য অনন্য উদ্যোগ। এই সব অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই তারা বাংলা সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হয়। প্রবাসে এ ধরনের অনুষ্ঠান নিজেদের মাঝেও পারস্পারিক সম্পর্কে আরও দৃঢ় করে। তাই সকলের সহযোগিতা পেলে এ ধরনের বৃহৎ সার্বজনীন অনুষ্ঠান আমরা নিয়মিত করতে চাই।