মার্ক রায়, তুলুজ, ফ্রান্স প্রতিনিধি: সমুদ্রের বিশালতা, গভীরতা এবং মায়াবী গর্জন সৌন্দর্যপ্রেমী ও আবেগি মানুষদের কাছে টানে। তাই তো ইউরোপে বসবাসরত সবার গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে ঘুরতে যাওয়ার পছন্দের তালিকায় ১ম স্থান পায় সমুদ্র সৈকত।
ফ্রান্সের পিঙ্ক সিটি খ্যাত তুলুজ শহরে বাংলাদেশী প্রবাসী খ্রিস্টান এসোসিয়েশনের উদ্যোগে গ্রীষ্মকালীন আনন্দ ভ্রমণ-২০১৯ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গ্রীষ্মের ছুটিতে ছেলে-মেয়েদের স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় এবং রবিবারে সাপ্তাহিক ছুটি থাকায় পরিবারের সকল সদস্য একত্রে এ আনন্দ ভ্রমণে অংশগ্রহণ করেছে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে।
২১ জুলাই অনুষ্ঠিত এ আনন্দ ভ্রমণে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও তুলুজ সহ আশপাশের শহরগুলো থেকে বিপুলসংখ্যক খ্রিস্টান সদস্য তাদের পরিবারবর্গ নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। প্রবাসের ক্লান্তি-গ্লানি কিছুটা হলেও কমিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনা নিয়ে আনন্দ ভ্রমণ শুরু হয়। চার্লস ডিকেন্স বিশ্বাসের প্রার্থনার মাধ্যমে সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে নরবন সমুদ্র সৈকতের উদ্দেশ্যে বাস যাত্রা শুরু করে। পথে যাত্রা বিরতিতে সকালের নাস্তা সেরে পুনরায় যাত্রা এবং দুপুর ১টায় নির্ধারিত সমুদ্র সৈকতে পৌঁছে সবাই আনন্দ আড্ডায় মেতে ওঠেন।
আড্ডা ও খুনসুটির পর উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য শেখর ভি রোজারিও এবং কোষাধক্ষ্য শীতল রোজারিও এর তত্ত্বাবধায়নে প্রচার সম্পাদক পঙ্কজ গমেজ ও সহকারি সাধারণ সম্পাদক অনুপ হিউবার্ট রোজারিও তৈরিকৃত দেশীয় খাবার দিয়ে দুপুরের আহার সম্পন্ন হয়। অতঃপর সকলেই পরম আনন্দে নিজেদেরকে সমুদ্রে শীতল জলে অবগাহিতো করে। উপস্থিত যুবকেরা সি বীচে বল খেলায় মেতে ওঠে। সময়ের সব ক্লান্তি কে সমুদ্রের জলে ফেলে দিয়ে দিন শেষে আবার সবাই ঘরে ফেরার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে।
পড়ন্ত বিকেলের মায়াবী পরিবেশে ফেরার পথে নির্দিষ্ট বিরতিতে শিশুদের, মহিলাদের বালিশ ছোড়া খেলা ও পুরুষদের ফুটবল খেলা নতুন এক আনন্দের মাত্রা যোগ করে। সংগঠনের অন্যতম সহ-সভাপতি ক্যান্টন কস্তা এবং উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নিকোলাস রোজারিও এবং শেখর রোজারিও এর তত্ত্বাবধায়নে পুরস্কার বিতরণী এবং লটারি ড্র অনুষ্ঠান সংঘটিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার প্রদান এবং আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশী প্রবাসী খ্রিস্টান এসোসিয়েশন, তুলুস- ফ্রান্সের সভাপতি যোসেফ ডি কস্তা,সাধারণ সম্পাদক মার্ক রায়, ট্রেজারার শীতল রোজারিও সহ অন্যান্যরা।
বক্তারা এই আনন্দঘন অনুষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতার জন্য সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন । তারা আরও উল্লেখ করেন, প্রবাসে অবস্থানরত সকল বাঙ্গালিকে তাদের ঐতিহ্য, আদর্শ ও প্রিয় বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল করতে, নতুন প্রজন্মের বাচ্চাদের আমাদের কৃষ্টি কালচার জানাতে এবং নিজের মাঝে আন্তরিকতা বৃদ্ধির জন্য এ ধরনের অনুষ্ঠান আরো বেশী করা উচিত।