প্রবাস মেলা ডেস্ক: বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, বাংলাদেশ ও চীনের উচিত ভবিষ্যতে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করা এবং দুই দেশের সহযোগিতার কৌশলগত সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া। বাংলাদেশের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে (এফএসএ) সোমবার (১৭ জুলাই) এক বক্তব্যে চীনের রাষ্ট্রদূত একথা বলেন। এফএসএর মহাপরিচালক শাহ আহমদ শফী এবং বাংলাদেশসহ পাঁচটি দেশের প্রশিক্ষণার্থী কূটনীতিকরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
ইয়াও বলেন, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ঐতিহাসিক সম্পর্ক, তুলনামূলক জাতীয় অবস্থা, সুশাসনের ক্ষেত্রে সমমনা এবং সুসংযুক্ত জাতীয় স্বপ্ন রয়েছে। উভয় দেশ সর্বদা মূল স্বার্থের ইস্যুতে একে অপরকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেছে এবং দ্বিপক্ষীয় ব্যবহারিক সহযোগিতা দুই দেশের জনগণকে উপকৃত করেছে।
এক শতাব্দীতে অপ্রত্যাশিত বড় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, চীন শান্তিপূর্ণ উন্নয়ন মেনে চলে, চীনা বৈশিষ্ট্যযুক্ত পথে আধুনিকীকরণ অনুসরণ করে এবং জিডিআই, জিএসআই ও জিসিআই উদ্যোগের প্রস্তাব দেয়। চীনের মধ্যস্থতায় সৌদি আরব ও ইরান একে অপরের সঙ্গে সমঝোতা করে এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় শুরু করে।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, চীন রাখাইন রাজ্য থেকে বাস্তুচ্যুত লোকদের প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে সহায়তা করে এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। চীন ও বাংলাদেশ বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নে অবদান রাখার প্রচেষ্টায় যোগ দিয়েছে।’
বক্তৃতা শেষে রাষ্ট্রদূত ইয়াও চীন-আমেরিকা সম্পর্ক, চীন-ভারত সম্পর্ক, ‘ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি’, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতায় চীন-বাংলাদেশ সহযোগিতা এবং দক্ষিণ চীন সাগর ইস্যু নিয়ে প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ মতবিনিময় করেন।