কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক থেকে: যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ২৭ মার্চ ২০১৯, বুধবার, রাত ১০ ঘটিকায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে ডেনমার্ক আওয়ামী লীগ । ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব মোস্তফা মজুমদার বাচ্চুর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরান থেকে তেলাওয়াত করেন ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি জনাব খোকন মজুমদার এরপর সম্মিলিত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়।
পরে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি, ইতিহাসের মহানায়ক, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ও মুক্তিযোদ্ধে শহীদ সকলকে গভীর ভালোবাসায়, বিনম্র শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে দোয়া মোনাজাত ও শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রাধান অতিথি ছিলেন ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের প্রাধান্ উপদেষ্টা জনাব বাবু সুভাষ ঘোষ, বিশেষ অতিথি ছিলেন-উপদেষ্টা রিয়াজুল হাসনাত রুবেল। বক্তৃতা করেন সহ সভাপতি খোকন মজুমদার, নাছির উদ্দিন সরকার, মো: ইসমাইল, যুগ্ম সাধারণ সস্পাদক নুরুল ইসলাম, বোরহান উদ্দিন, বেলাল রুমী, সাংগঠনিক সস্পাদক শামীম খালাসী, সোহাগ, সারিং সেলিম, গোলাম কিবরিয়া শামীম। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন ডেনমার্ক আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক বদরুল আলম রনি সহ ডেনমার্ক যুবলীগ, ডেনমার্ক আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ডেনমার্ক ছাত্রলীগ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক , সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা বলেন, মার্চ মাস বাঙালি জাতির স্বাধীনতার মাস। এই মাস বাঙালি জাতির গৌরবের মাস। এই মার্চ মাসেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম হয়। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ বাংলার বুকে আসেন সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যার জন্ম না হলে বাঙালি জাতি স্বাধীনতা অর্জন করতে পারত না। যার বজ্রকণ্ঠের ভাষণ শুনে ৭ কোটি বাঙালির বুকে সাহস এসেছিল তার সেই ঐতিহাসিক ভাষণের মাসও এই মার্চ মাস। এই মাসের গুরুত্ব অপরিসীম। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে সেদিন নিরস্ত্র বাঙালির বুকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর চেয়ে হাজারও গুন বেশি সাহস এসেছিল। স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমরা যে গৌরব বোধ করি, এ গৌরব অর্জনের পেছনে দীর্ঘদিনের সংগ্রাম এবং ভয়াবহ ও রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিদ্যমান।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সস্পাদক মোহাম্মদ সেলিম, দপ্তর সস্পাদক, জাহিদুল ইসলাম মামুন, অর্থ সস্পাদক মো: খোকন, সাংস্কৃতিক সস্পাদক, ইব্রাহিম তুহীন খাঁন, যুব ও স্পোর্ট সস্পাদক আনোয়ার হোসেন পলাশ, প্রচার ও প্রকাশনা সস্পাদক শিপন মোহাম্মদ, তত্ত্ব ও গবেষণা সস্পাদক শরীফুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সস্পাদক আজাদুর রহমান, অভিবাসন সস্পাদক আরিফুল ইসলাম আরিফ, কার্ষকারী কমিটির সদস্য, আনু মিয়া, তাজবির আহমেদ, রাজু আহম্মদ, মোহাম্মদ আশরাফ ফরাদ, নাজিম উদ্দিন, রাসেল মাতবার, এরশাদ মিয়া, নিজাম উদ্দিন বলী, মাে: বাবু, সোহেল খাঁন, সফিকুর রহমান, আব্দুর রহমান, রনি আলম, অবু সোয়েব, মো রাসেল। অনুষ্ঠানের শেষ অংশে কবিতা পাঠ করে শোনান ছোটমনি তৃপ্তি ও তন্ময় । নৈশভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।