সাফিউল সাফি, কোপেনহেগেন, ডেনমার্ক: ৩ নভেম্বর ২০১৮ কোপেনহেগেন এর স্থানীয় একটি রেস্তোরাঁর সভা কক্ষে ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ৪৩তম জেলহত্যা দিবস পালন উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তফা মজুমদার বাচ্চুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান সঞ্ছালনায় আরও বক্তব্য রাখেন সহসভাপতি জাহিদ চৌধুরী বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাইম বাবু, নুরুল ইসলাম টিটু। অনুষ্ঠানে কোরআন থেকে তেলোয়াত মাধ্যমে শুরু করে জাতির পিতা ‘বঙ্গবন্ধু’ , বঙ্গমাতা, জাতীয় চার নেতা, ১৯৭৫এর ১৫ আগস্ট শহীদ ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
বক্তারা বলেন, বাঙালি জাতির ইতিহাসে আরেক কলঙ্কিত দিন রক্তক্ষরা জেলহত্যা দিবস। স্বাধীন বাংলাদেশের যে কয়টি দিন চিরকাল কালো দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে, তার একটি ৩ নভেম্বর। যে কয়েকটি ঘটনা বাংলাদেশকে কাংখিত অর্জনের পথে বাধা তৈরি করেছে, তার মধ্যে অন্যতমটি ঘটেছিল ১৯৭৫ সালের এই দিনে।বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করতে ৪২ বছর আগে ১৯৭৫ সালের ৩ নবেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ জাতির চার মহান সন্তান, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম পরিচালক, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ ঘনিষ্ঠ সহচর, জাতীয় চার নেতা বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় এমন জঘন্য, নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাকান্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার জেলহত্যা মামলার প্রক্রিয়া পুনরুজ্জীবিত করে। এর পর দীর্ঘ আট বছরেরও বেশি সময় বিচারকাজ চলার পর বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত মামলাটির রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ২০ আসামির মধ্যে ১৫ সাবেক সেনা কর্মকর্তার শাস্তি এবং অপর ৫ জনকে খালাস দেয়া হয়। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে পলাতক তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং অপর ১২ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শরিফুল ইসলাম ,হিমী খান, মোহাম্মাদ মামুন, তারিকুল ইসলাম, শিপন মিয়া, জাহিদুল ইসলাম, মোহাম্মাদ সোহাগ, অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ মোসাদ্দিকুর রহমান রাসেল, রাজু আহম্মদ, মোহাম্মদ আশরাফ ফরাদ, মশিউর রহমান শাওন , রনি, ওমর,আমির জীবন , ফজলে রাব্বি , সামসুল আলম, সোহেল আহমেদ, সাফায়েত অন্তর, শামীম খান ,তাসবির হোসেন,মাঞ্জুর আহমেদ মামুন, মনসর আহমেদ, মোহাম্মাদ ইউসুফ, মাসুম বিল্লাহ, শাওন রহমান , সাইদুর রহমান, নাজমুল ইসলাম, আরিফুল ইসলাম, হাসান শাহীন, তুহীন, আরিফুল হক আরিফ, আজাদুর রহমান, রাজ্জাক, নাজমুল হোসেন, দোলনসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।