প্রবাস মেলা ডেস্ক: আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে পাক্ষিক প্রবাস মেলা অফিস পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের (হাইওয়ে পুলিশ) ডিআইজি মোঃ শফিকুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, বুধবার সন্ধ্যায় প্রবাস মেলা’র কলাকুশলীদের সাথে তিনি চা-চক্রে অংশ নিয়ে নানা বিষয়ে কথা বলেন। আলোচনার এক ফাঁকে ডিআইজি শফিকুল ইসলামের হাতে প্রবাস মেলার সৌজন্য কপি তুলে দেন পত্রিকাটির উপদেষ্টা মামুন ইমতিয়াজ। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন- পত্রিকার সম্পাদক শরিফ মুহম্মদ রাশেদ, ইঞ্জিনিয়ার মো: ফখরুজ্জামান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবিকা জুবায়দা নাজনীন চৌধুরী, আয়েশা, নাজিয়া, প্রবাস মেলা’র রিপোর্টার আশরাফুল আলম মাসুদ ও ওমর মো: খালেদ (সবুজ)।
বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার কৃতি সন্তান ডিআইজি মো: শফিকুল ইসলাম। তিনি বাংলাদেশ পুলিশের একজন সৎ, দক্ষ, মেধাবী, কর্মঠ ও চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা। মো: শফিকুল ইসলাম রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শেষ করে ১৯৯৯ সালে অনুষ্ঠিত ১৮তম বিসিএস এ বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। কর্মজীবনের শুরুতে ২০০০ সালে তিনি লক্ষীপুর জেলায় সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে যোগদান করেন। সেখানে দক্ষতার সাথে ৯ মাস দায়িত্ব পালনের পর চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটনে এ্যাসিসটেন্ট পুলিশ কমিশনার হিসেবে যোগদান করেন। সেখানে ২ মাস কর্মরত ছিলেন মো: শফিকুল ইসলাম। সেখান থেকে ২০০২ সালে তিনি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তে যোগদান করেন। ডিবিতে ২০০৭ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ৫ বছর কর্মরত ছিলেন। এরপর তিনি সারদা পুলিশ একাডেমিতে ২ মাস এ্যাডিশনাল এসপি (ট্রেনিং) এ দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ২০০৭ সালের জুন মাসে জাতিসংঘ মিশনে লাইবেরিয়া’তে চলে যান। মিশন থেকে এসে ২০১০ সালে চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। তিনি ২০১০ সালে আবারও জাতিসংঘ মিশনে লাইবেরিয়া যান। ২০১৩ সালে পদোন্নতি পেয়ে তিনি সিলেট মেট্রোপলিটন এ পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে যোগদান করেন। ২০১৪ সালে তিনি ৩য় বারের মতো জাতিসংঘ মিশনে আইভরি কোস্ট এ যান। আইভরি কোস্ট থেকে মিশন শেষ করে পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশে যোগদান করেন। এরপর ২০১৯ সালে বাংলাদেশ নৌ-পুলিশের এসপি’র দায়িত্ব পান। ২০২১ সালে পদোন্নতি পেয়ে বাংলাদেশ নৌ-পুলিশে অতিরিক্ত ডিআইজি (এ্যাডমিন এন্ড অপারেশনস) হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন। এখন তিনি বাংলাদেশ হাইওয়ে পুলিশে ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে দায়িত্বরত আছেন।
মো: শফিকুল ইসলাম অপরিসীম বীরত্ব ও সাহসিকতাপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৭ সালে পিপিএম এবং ২০২০ সালে বিপিএম পদক লাভ করেন।
ব্যক্তিগত জীবনে মো: শফিকুল ইসলাম ২ ছেলে ও ১ কন্যা সন্তানের জনক। তার স্ত্রীর নাম সুমাইয়া পারভীন।