প্রবাস মেলা ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ট্রাম্পের ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ঘটনাই প্রমাণ করে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয় এবং এটিই যুক্তরাষ্ট্রের মূলনীতি।
শুক্রবার (৩১ মে) হোয়াইট হাউসে বাইডেন বলেন, পাঁচ সপ্তাহ ধরে চলা শুনানিতে সাক্ষ-প্রমাণের ভিত্তিতে ১২ জন জুরি ঐক্যমত্যে পৌঁছান এবং সর্বসম্মত রায় দেন। তিনি বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আত্মরক্ষার সব সুযোগ দেয়া হয়েছিল। শুনানিতে ছিলেন ১২ জন মার্কিনি; যারা লাখ লাখ মার্কিনির প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
বাইডেন আরও বলেন, ট্রাম্পের এখনও এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ আছে। কারণ আমেরিকার বিচার ব্যবস্থা এভাবেই কাজ করে।
ট্রাম্প ও তার সমর্থকদের মন্তব্যের উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই রায় নিয়ে কারচুপি করা হয়েছে এমন বলাটা দায়িত্বজ্ঞানহীনতা। এটা তারাই বলতে পারে যারা এই রায় সমর্থন করতে পারছে না। অথবা যাদের বিরুদ্ধে চলে গেছে।
বাইডেন আরও বলেন, ‘আমাদের বিচার ব্যবস্থা প্রায় ২৫০ বছর ধরে টিকে আছে এবং এটি আক্ষরিক অর্থেই আমেরিকার ভিত্তি।’
এদিকে শুক্রবার নিউইয়র্কে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময়, ট্রাম্প বরাবরের মতই দাবি করেন, বাইডেন ও তার লোকেদের ইশারাতেই তাকে মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পেছনে বাইডেন ভূমিকা রেখেছেন- সাংবাদিকদের এমন অভিযোগের জবাবে বাইডেন একটু হাসেন এবং বলেন, ‘আমি জানতাম না যে আমার এত ক্ষমতা।’
বাইডেন আরও বলেন, ক্ষমতায় না থাকলে তার বিরুদ্ধে কখনও এমন অভিযোগ আনা হবে- সে বিষয়ে তিনি মোটেও চিন্তিত নন। কারণ তিনি জানেন যে তিনি ভুল কিছু করেননি।
ব্যবসায়িক নথিপত্রে তথ্য গোপনের অভিযোগে করা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের একটি আদালত এ রায় দেন।
ওই মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০০৬ সালে স্টর্মি ড্যানিয়েলসের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের বিষয়ে মুখ না খুলতে ট্রাম্পের পক্ষ থেকে স্টর্মিকে ১ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঘুষ দেয়া হয়। তবে ব্যবসায়িক নথিপত্রে এ লেনদেনের তথ্য গোপন করা হয়েছিল।
সূত্র: সিএনএন।