শামছুজ্জামান নাঈম, কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া প্রতিনিধি: প্রতিবেদক একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনে নির্বাচন করবেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ওলিকুলের শিরোমণি কায়েদ সাহেব হুজুরের নাতী অধ্যক্ষ ফয়জুল হক। ইতোমধ্যে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নমিনেশন পেপারও জমা দিয়েছেন। এদিকে ফয়জুল হক একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে গেছে। এলাকাবাসী তাদের প্রিয় কায়েদ সাহেব হুজুরের নাতীকে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে সংসদে দেখতে চান। তাই ফয়জুল হকের নির্বাচনী এলাকা রাজাপুর-কাঁঠালিয়ার মানুষ নিজ উদ্যোগে এলাকায় প্রচারের কাজ করে যাচ্ছেন। এদিকে ফয়জুল হক নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বিএনপি এবং আওয়ামীলীগ উভয় দলই নিজেদের জয় নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন। ঝালকাঠি-১ আসনে কায়েদ সাহেবের রয়েছে বিশাল প্রভাব- যার ফলে হুজুরের নাতী হিসেবে এবং নিজ যোগ্যতায় নির্বাচনী বৈতরণী সহজেই পার হয়ে যাবেন বলে ধারণা করছেন এলাকাবাসী। এলাকায় দলমত নির্বিশেষে জনপ্রিয় ফয়জুল হক বিএনপি থেকে নমিনেশন নেওয়ার পর সাধারণ মানুষের মাঝে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। অনেকটা নিশ্চিত হওয়া যায় তিনিই পাচ্ছেন ধানের শীষের টিকেট। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাবেক এমপি ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ব্যারিষ্টার এম শাহজাহান ওমর বীরউত্তমকে নমিনেশন দেওয়া হলে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেন। নির্বাচনের সময় ছাড়াও তিনি দীর্ঘদিন রাজাপুর-কাঁঠালিয়ার স্থানীয় বাসিন্দা ও বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের মাঝে কাজ করেছেন। তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ, পথসভাসহ সামাজিক ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিচ্ছেন। ফয়জুল হক রাজনীতির পাশাপাশি বর্তমানে ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি মালয়েশিয়াতে (আইআইইউএম) এ পিএইচডি গবেষনারত এবং একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘পোষ্ট গ্র্যাজুয়েট স্টুডেন্ট সোসাইটি (পিজিএসএস)’ এর নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পিএইচডি গবেষক অধ্যক্ষ ফয়জুল হক বলেন, আমি চাই আমার এলাকার মানুষের জন্য কাজ করতে। মহান জাতীয় সংসদে গিয়ে এলাকার মানুষের কথা বলতে। আশা করছি এলাকার মানুষ আমাকে দলমত নির্বিশেষে জনগন আমাকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।