মো: মেসবাহ্ উদ্দিন আলাল, ভেনিস, ইতালি প্রতিনিধি: পৃথিবীর অন্যতম সৌন্দর্যময় নগরী ইতালির ভেনিস। সমুদ্রের পানিতে ভাসমান এই নয়নাভিরাম শহরের সৌন্দর্য দেখতে আসেন নি এমন ভ্রমণ পিয়াসী খুঁজে পাওয়া দুস্কর।
অবিশ্বাস্য হলেও সত্য, কয়েকদিন ধরে সুউচ্চ জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হচ্ছে ভেনিস, আবার পানি নেমেও যাচ্ছে ২/৩ ঘন্টার মধ্যে কিন্তু ভেনিসের সার্বিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ব্যাপক। কদিন যাবৎ স্থানীয় বাসিন্দাসহ পর্যটকরা একটু অস্বস্তির মধ্যে সময় পার করছেন।

বিশেষ করে ভেনিসের অন্যতম সৌন্দর্যের প্রতীক সেন্ট মার্ক স্কয়ারের চরম ক্ষতি হয়েছে। প্রায় প্রতিদিন জোয়ারে তলিয়ে যায় সেন্ট মার্ক স্কয়ার যা পর্যটকদের অত্যন্ত পছন্দের জায়গা। এখানে রয়েছে পৃথিবীর সুন্দরতম একটি বিশাল গীর্জা যা ভেনিসকে দিয়েছে অপরুপ সৌন্দর্য আর মর্যাদা আসন।
ভেনিসে গড়ে প্রতি বছর ২৫ মিলিয়ন পর্যটক আসেন। পর্যটনভিত্তিক এবং ভেনেসিয়ান ট্র্যাডিশনাল ব্যবসার জন্য ভেনিস নগরী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ১৯৬৬ সালের পর গত মঙ্গলবার রাত ১১টায় ঝড়বৃষ্টিসহ অধিক জোয়ারের পানি (১৮৭ সেন্টি.) প্রবেশের ফলে পুরো শহর তলিয়ে যায় যদিও তা কিছু সময় পরেই আবার নেমে যায়।

প্রতিদিনই দু’বার জোয়ার ভাটার কবলে জনজীবনে দুর্ভোগ আর অস্বস্তির মধ্যে রয়েছে এলাকাবাসী। সাধারন জীবন চরম ব্যহত হচ্ছে। এ অবস্থা থাকতে পারে আরও ২/৩ দিন।
এখনো শহরটিতে জোয়ার কবলিত বন্যা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি তবে আশা করা যাচ্ছে আগামী সোমবার থেকে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে।
জানা গেছে ৫০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কারনে স্থানীয় মেয়র শহরটিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। বন্ধ রয়েছে স্কুল, কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। পানির উচ্চতার কারণে যানবাহন চলাচলে চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। জনজীবনে বেড়েছে দুর্ভোগ। ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসেপ্পে কন্তে দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে সকল প্রকার সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
এদিকে পানি উঠানামার কারণে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।
প্রবাসী বাংলাদেশিরা জানান, আর্থিকভাবে চরম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তারা। জোয়ারের পানির কারণে তবে ভেনিস মিউনিসিপালিটি ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছেন।