শেখর বরণ:
নেকড়ের দল তাড়া করে আসে,
নিঃশ্বাসে ছাড়ে বিষ সবার অলখ্যে পিছন থেকে। ওরা কারা?
কষ্টে বানানো মানুষের ঘর দাউ দাউ করে পুড়ে হয়ে যায় ছাই
এধারে-ওধারে ঘরে-বাইরে লুকিয়ে থাকে বিশ্বাসহন্তার হিংস্র কালো দাঁত,
ধর্ম-বেসাতি শকুনের দল গড়াগড়ি খায় জীবনের করিডোরে,
মানুষের সরল বিশ্বাসে পড়ে কঠিন চপেটাঘাত।
ফতোয়া আসে জানান দিয়ে —
চাঁদে দেখা যায় প্রাসাদতুল্য ষড়যন্ত্রের মুখ
ফতোয়া আসে কাফের বানানোর অশ্লীল চোরাগলি
ফতোয়া আসে ধর্মের নামে শ্লীলতহানির ঘৃণ্য পদাবলী
গড়া-পুতুল ভাঙ্গতে গিয়ে জীবনের খুঁটি ভাঙ্গে যারা,
ওরা কারা?
মূর্তি ভাঙ্গার ছলাকলা নিয়ে ভেঙ্গে দিতে চায় মানুষের জয়গান, পতাকার শক্ত ভীত।
চিনে নাও ওদের —
একাত্তরের লড়াকু দিনে ওরাই মেরেছে লাখো লাখো ভাইবোন,
ওরাই পুড়িয়েছে গ্রামকে-গ্রাম শত শত ঘর-বাড়ী,
ধর্মের নামে ওরাই ছড়িয়েছে সাম্প্রদায়িকতার বিষ,
ওদের হাতেই লুন্ঠিত হয়েছে মা-বোনের সম্ভ্রম।
পরাজিত সে মুখ আবার এসেছে নতুন মুখোশ পরে,
আবার জেগেছে আগুন জ্বালাতে সোনা-ফলা বাংলায়।
এ-দেশ কী আবার ফিরে যেতে চায় অন্ধকারের যুগে?
আবার কী এ-দেশে কেঁপে উঠবে খলনায়কের হাসি?
কেউ না-থাক আমি জেগে আছি, যতক্ষণ দেহে প্রাণ
চোখে আগুন বুকে সাহস মুখে জয়বাংলা গান।