প্রবাস মেলা ডেস্ক: জার্মানিতে শনিবার চরম ডানপন্থি রাজনৈতিক দল অল্টারনেটিভ ফর ডয়েচল্যান্ডের (এএফডি) বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছেন দেশটির লাখো মানুষ। চরমপন্থি দলটির একটি সভায় সদস্যরা অভিবাসন নীতি নিয়ে আলোচনা করার পর দেশটিতে প্রতিবাদের এ ঝড় উঠে।
জার্মানির অর্থনৈতিক কেন্দ্র ফ্রাঙ্কফুর্টে প্রায় ৩৫ হাজার লোক ‘গণতন্ত্র রক্ষা করুন’ প্লেকার্ড নিয়ে এএফডির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। অপরদিকে, উত্তরের শহর হ্যানোভারে অনুরূপ সংখ্যক লোক ‘নাৎসি আউট’ লেখা পোস্টার নিয়ে প্রতিবাদ করেন। গত সপ্তাহে প্রতিদিনই একই ইস্যুতে দেশটির ছোট শহরগুলোতে বিক্ষোভ হয়ে আসছিল। সব মিলিয়ে শুক্র থেকে রোববার পর্যন্ত বার্লিনসহ জার্মানির প্রায় ১০০টি স্থানে বিক্ষোভ হয়। রাজনীতিবিদ, গীর্জা এবং বুন্দেসলিগা কোচ সবার পক্ষ থেকে জনগণকে এএফডির বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর আহ্বান জানানো হয়।
সম্প্রতি নব্য নাৎসি ও এএফডি পার্টির মধ্যে একটি বৈঠক হয়, সে বৈঠকে জার্মানি থেকে অভিবাসন প্রত্যাশী, অন্যদেশের বংশোদ্ভূত জার্মান নাগরিক যারা মূলধারায় আসতে পারেনি তাদের গণহারে দেশ থেকে বের করে দেওয়া নিয়ে আলোচনা হয়। এ খবর প্রকাশে আসার পরেই শুরু হয় বিক্ষোভ।
ওই বৈঠকে অস্ট্রিয়ান উগ্র ডানপন্থী মার্টিন সেলনারও উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে। সেলনার ও তার সংগঠন অস্ট্রিয়ান আইডেন্টিটারিয়ান মুভমেন্ট একটি ষড়যন্ত্রে বিশ্বাসী ,তারা সন্দেহ করে অ-শ্বেতাঙ্গ অভিবাসীরা ইউরোপের শ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠীকে হটিয়ে গোটা ইউরোপ নিজেদের কব্জায় নিয়ে নেবে!
জার্মানিতে উগ্রপন্থীদের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে, সাম্প্রতিক সমীক্ষাগুলোও বলছে এএফডির জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। এ পরিস্থিতিকে জার্মানির গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হিসেবে দেখছে ক্ষমতাসীনরাও। এমনকি জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজও গত সপ্তাহে নাৎসি বিরোধী বিক্ষোভে শামিল হন। সে সময় তিনি বলেন, অভিবাসী, নাগরিকদের গণহারে বের করে দেওয়ার যেকোনো পরিকল্পনা আমাদের গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে আক্রমণ, একই সঙ্গে আমাদের সবার বিরুদ্ধেও সর্বাত্মক আক্রমণ।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।