রাশেদ কাদের, আম্মান, জর্ডান প্রতিনিধি: জর্ডানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যৈষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্ম বার্ষিকী পালন করেছে জর্ডানস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। দূতাবাসের হল রুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতেই দূতাবাসের কর্মকর্তা কর্মচারী বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ ও প্রবাসীদের নিয়ে শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন দূতাবাসের হিসাব রক্ষক বেলায়াত হোসেন। প্রথম সচিব ও দূতাবাস প্রধান মোহাম্মদ বশিরের সঞ্চালনায় আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করে শুনান প্রথম সচিব (শ্রম) সালমা আক্তার ও প্রথম সচিব (পাসপোর্ট) মোহাম্মদ সোহাগ হাওলাদার।
রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান সকল প্রবাসীদের নিয়ে কেক কেটে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এরপর বাংলাদেশ ক্রীড়া ও সাংকৃতির আধুনিক রূপকার শেখ কামালের জীবনী নিয়ে বক্তব্যে রাখেন রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান ও কমিউনিটি নেতৃবৃন্দ।
রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান বলেন, বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল শুধুমাত্র একজন দেশপ্রেমিক বীর মুক্তিযোদ্ধাই ছিলেন না, তিনি ছিলেন বাংলাদেশের ক্রীড়াজগতের আধুনিক ধারার স্থপতি। বর্তমানে ক্রীড়া ও যুব মন্ত্রণালয় শেখ কামালের দেখানো পথেই ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে দেশের মানুষকে সংঘটিত করতে ক্রীড়া ও সাংকৃতির বিকল্প নেই শহীদ ক্যাপ্টেন কামাল তা উপলব্ধি করে পেরিছিলেন।
রাষ্ট্রদূত ক্রীড়া ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে দেশ-বিদেশে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সাফল্য উল্লেখ করে শেখ কামালের সাংগঠনিক দক্ষতা ও সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার বিশেষ অবদান তুলে ধরেন। একইসঙ্গে বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে দেশের চলমান উন্নয়নের অভিযাত্রার কথা তুলে ধরে বিশ্বে একটি ‘মডেল রাষ্ট্র’ হিসেবে স্বীকৃতির কথাও তুলে ধরেন। শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জীবনীর উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শক করা হয়।