রাশেদ কাদের, আম্মান, জর্ডান : স্বাধীন বাংলাদেশে খেলাধুলা ও সাংগঠনিক ক্রীড়ার রূপকার বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল এর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ দূতাবাস, আম্মান কর্তৃক শিশু কিশোরদের অংশগ্রহণে এক দাবা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
জর্ডানে প্রবাসী বাংলাদেশি শিশু-কিশোর ও ভবিষ্যত প্রজন্মের মাঝে বাংলাদেশের ক্রীড়া ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ তনয় শহীদ শেখ কামালের অবদানকে ছড়িয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। তিনদিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত এই দাবা প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলা শেষে ৫ আগস্ট ২০২০ বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারী সকল প্রতিযোগীদের সন্মাণনা পুরষ্কার ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
পুরস্কার বিতরণী শেষে বাংলাদেশ দূতাবাস আম্মান, জর্ডান আনুষ্ঠানিক পর্ব আয়োজনের মাধ্যমে যথাযথ মর্যাদায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামাল এর ৭১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করে। জর্ডানে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহান দূতাবাস প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত এবং দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এরপর শেখ কামালের জীবনের উপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। সবশেষে কেক কাটার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।
দাবা প্রতিযোগিতার উদ্ধোধনকালে মান্যবর রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বলেন, শেখ কামাল বাংলাদেশের সাংগঠনিক ক্রীড়ার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তিনি আবাহনী ক্লাব সহ অসংখ্য সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও পৃষ্ঠপোষক ছিলেন। শেখ কামাল নিজেও একজন মেধাবী খেলোয়াড় ছিলেন। ফুটবল, বাস্কেটবল, ক্রিকেট সহ প্রায় সব ধরণের ক্রীড়া ক্ষেত্রে যুব সম্প্রদায়কে অনুপ্রাণিত করতে তিনি অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন। বাংলাদেশে ক্রীড়ার সাংগঠনিক ভিত রচনায় তিনি ছিলেন এক নিরলস কারিগর। খেলাধূলার মাধ্যমে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার যে মহান ব্রত নিয়ে শহীদ শেখ কামাল কার্যক্রম শুরু করেছিলেন তারই ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ আজ বিশ্ব দরবারে ক্রীড়াক্ষেত্রে নিজেকে সংযুক্ত করেছে। এই দাবা প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদেরকে বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ভূমিকা, দর্শন ও কর্মনিষ্ঠার বিষয়ে অবগত করার মাধ্যমে দেশ গঠনে তাদের উদ্বুদ্ধ করার প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী বক্তাগণ শেখ কামালের জীবন ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে তার অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরেন। এছাড়া দূতাবাসের উদ্যোগে এই ধরণের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন জর্ডানে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধি করবে বলে মতামত ব্যক্ত করেন। সেই সাথে বক্তাগণ দূতাবাস কর্তৃক এই ধরণের কার্যক্রম আয়োজনকে স্বাগত জানিয়ে তা অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানান। কেক কাটা শেষে সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।