রাশেদ কাদের, জর্ডান থেকে: প্রায় দশ মাস ধরে অসুস্থ্যতায় বিছানায় পরে থাকা ছেতারা বেগম দুতাবাসের সহায়তায় দেশে ফিরেছেন। ৪৪ বছর বয়সী ছেতারা বেগম বিগত ৮ বছর যাবৎ ছাহাবের মদিনা সানা এলাকায় বৈধ কাগজপত্রবিহীন বসবাস করছিলেন।
গত দশ মাস আগে আমাশায় থেকে প্যারালাইসেসে আক্রান্ত হন তিনি। দির্ঘদিন চিকিৎসা নিলেও তার সাস্থ্যের কোন প্রকার উন্নতি হয়নি। দির্ঘদিন কাজ না করতে পারায় চিকিৎসা ও খাদ্য সংকটে পরে যায় ছেতারা বেগম। আশেপাশে থাকা বাংলাদেশিদের সহায়তায় কোন রকম খেয়ে পরে বেচে ছিলেন। গত কয়েক দিন যাবৎ তার শরীরের অবস্থা খারাপ হতে থাকে। স্থানীয় বাংলাদেশিদের সহায়তায় বাংলাদেশ দূতাবাসের এসে দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করে দেশে ফিরে যেতে চান এবং চিকিৎসা ও খাবারের জন্য কিছু নগদ অর্থ চান।
ছেতারা বেগমের শরীরের অবস্থা বিবেচনা করে কর্মকর্তারা ঘটনাটি মান্যবর রাষ্ট্রদূত নাহিদা সোবহানকে অবহিত করেন। তাৎক্ষণিকভাবে রাষ্ট্রদূতের নির্দেশে কল্যাণ বোর্ডে তহবিল থেকে ২০০ জেডি প্রদান করেন এবং দেশে পাঠানোর আশ্বাস দেন। ৩১ আগস্ট ২০২০, সোমবার বিশেষ ফ্লাইটে সরকারি খরচে দেশে ফেরত পাঠানোর কাজ শেষ করেন।
ছেতারা বেগম বরিশালের উজিরপুরের এক ছেলে এবং এক মেয়ের জননী। দূতাবাসের এমন সহায়তা পেয়ে তিনি বলেছেন, এমন সহায়তা কখনো কল্পনাও করিনি। এতো জলদি দেশে ফিরতে পারবা কখনোই ভাবতে পারিনি। দূতাবাস থেকে বলা হয়েছে জর্ডানে বসবাসরত বাংলাদেশিদের জর্ডান সরকারের দেওয়া আইন-কানুন মেনে চলার কথা বলা হয়েছে এবং করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাচল করার জন্য। যেকোনো সমস্যা সমাধানে প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাশে দূতাবাস থাকবে। যেকোন প্রয়োজনে দূতাবাসে যোগাযোগ করতে আহব্বান করা হয়েছে।