রানা সাত্তার, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়া হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার বা ব্ল্যাড ব্যাংক চালানোর সুযোগ নেই। অনুমোদনহীন হাসপাতালগুলোকে তাই অনলাইনে আবেদনের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল। তা উপেক্ষা করেও শহর, জেলা, উপজেলায় চলছে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারসহ হাসপাতাল।
এরই ধারাবাহিকতায় ৩ ডিসেম্বর ২০২০, বৃহস্পতিবার বিকালে আনোয়ারায় ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারে যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা মনিটরিং করার লক্ষ্যে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) তানভীর আহমেদ চৌধুরীর নেতৃতে বন্দর সেন্টারে অবস্থিত ছায়াপথ ক্লিনিক, শোলকাটা হাসপাতাল গেইট সংলগ্ন সাইনিং ডায়গনস্টিক সেন্টার, চাতরী চৌমহনীতে দি ল্যাব এইড ও স্টার ল্যাবে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

এসময়, স্বাস্থ্যহানির ঝুঁকি নিয়ে পরিচালিত ক্লিনিক ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় বন্দর সেন্টারে অবস্থিত ছায়াপথ ক্লিনিক এন্ড হসপিটালকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অদক্ষ ও অনুমোদনহীন হাসপাতাল বিধায় প্রসূতি মায়েদের সিজারিয়ান কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। একই সাথে ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটার সীলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে, আরেক ডায়গনষ্টিক সেন্টারের অদক্ষ টেকনেশিয়ানদের শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় স্টার ল্যাব নামক ল্যাবকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এসময় অভিযানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আবু জাহিদ মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) তানভীর আহমেদ চৌধুরী বলেন, স্বাস্থ্যহানির ঝুঁকি নিয়ে প্রসূতি মায়েদের সিজারিং কার্যক্রম পরিচালনা করার কারণে ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় ছায়াপথ ক্লিনিক এন্ড হসপিটালকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অপারেশন থিয়েটার সীলগালা করে দেওয়া হয়েছে, কাগজ পত্রে অনিয়মের কারণে স্টার ল্যাব নামে অপর একটি ল্যাবকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযানে মোট ৩০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

তিনি আরো বলেন, স্বাস্থ্যসেবায় মানুষকে আগে মানবিক হতে হয়। অসুস্থ মানুষের সর্বশেষ আস্থা হচ্ছে ডাক্তার বা চিকিৎসা কেন্দ্র। সেখানে অনিয়ম ও নীতিমালা লঙ্ঘণ হলে কোনো ছাড় দেয়া হবে না। এই অভিযান আগামীতেরও অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, গত ১৭ নভেম্বর ২০২০ ডাক্তার, নার্স, মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট কিংবা দক্ষ টেকনিশিয়ান ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন না থাকায় সীলগালা করে দেয়া হয়েছিল জনসেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বটতলী এবং কালিবাড়ির আইডিয়াল ক্লিনিক। তখন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জনাব ডা. আবু জাহিদ মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। তারপরও চলছে নীতিমালাহীন ল্যাব, ক্লিনিক, হাসপাতাল।