রানা সাত্তার, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানার মামলাধীন ৩ আসামী টিম সিআইডি’র জালে আটক হয়েছে। প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার তিন আসামির বিরুদ্ধে বিভিন্ন মেয়াদের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। ২ দিন রিমান্ড মঞ্জুর হয়।যারা রিমান্ড পেয়েছেন তারা হলেন আবু বক্কর ও রাসেল।
রিমান্ডে আবু বক্করের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীতে বের হয়ে আসে গুরুত্বপুর্ণ তথ্য। তাদের দেয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে আসামী সোহেলকে ধৃত করা হয়। আসামী সোহেল এর কাছ হতে নগদ ২ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়।
সহযোগীসহ সর্বমোট ৪ জনকে আটক করা হয়। তারা হলেন- আবু বক্কর (২৪) পিতা-মুবারক আলী, মাতা-মর্জিনা, লক্ষ্যারচর, কাজীর পাড়া (মোবারক আলীর বাড়ি), ১নং ওয়ার্ড, থানা-চকরিয়া। বর্তমানে বিশ্ব সংযোগ নামে একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত রয়েছে। রাসেল (২২), পিতা-সফি আলম, সাং-লক্ষ্যারচর, কাজীর পাড়া (সফি আলমের বাড়ি), ১নং ওয়ার্ড, থানা-চকরিয়া, কক্সবাজার। অপর জন রাসেল এর আপন ভাই রুবেল ও তাদের সহযোগি লিটন।
১৭ মার্চ ২০২০, মঙ্গলবার এর বাদী জয়নালের দ্বারা কতোয়ালী থানায় দায়ের করা মামলায়, মামলা নং-১৫,তাং-০৫.০২.২০২০ ইং,ধারা-৪০৬/৪২০/৫০৬ দায়কৃত আাসামীদের আনুমানিক বাংলাদেশ সময় ১২:৩০ মিনিটে সিআইডি, চট্রগ্রামের বিশষ পুলিশ সুপার, জনাব ড. নাজমুল করিম খান বলেছেন, বিশেষ তদারকীতে টিম সিআইডি (চট্রগ্রাম) একটি সফল অপারেশন পরিচালনা করতে সক্ষম। বাদীর লুন্ঠীত ১৪ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার মধ্যে আসামী আমরা নগদ ২ লক্ষ টাকা উদ্বারসহ সিজার লিস্ট করেছি এবং বাদ বাকী টাকা গুলো উদ্ধারের জন্য টিম সিআইডি, চট্রগ্রাম কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে আসামিদের মধ্যে ১৪ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা ভাগাভাগি হয়েছে। সিআইডি তদন্তে বের হয়ে আসে অনেক তথ্য।
এ ব্যাপারে টিম সিআইডি (চট্টগ্রাম) শাখার অপারেশন নেতৃত্বদানকারী টিম লিডার ইন্সপেক্টর মুহাম্মদ শরীফ বলেন, মাত্র কিছু টাকা উদ্ধার হয়েছে, আরো বাকি আছে অনেক টাকা। বিজ্ঞ আদালত এর কাছে ৭দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছেছিল। দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ায় নতুন তথ্যানুসারে আমরা বাকি টাকাও অচিরেই উদ্ধার করতে পারবো বলে আশাবাদী।