রানা সাত্তার,চট্টগ্রাম: আজ বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর ২০১৯), বছরের শেষ সূর্যগ্রহণের দেখা মিলে চট্টগ্রাম থেকেও সকাল ৮টা ৫৫ মি.শুরু হয়। এ সময় সূর্যকে রক্তাক্ত আংটির মতো দেখা যায়, হঠাৎ এজন্য বিজ্ঞানীরা এর বৈজ্ঞানিক নাম দিয়েছেন ‘রিং অব ফায়ার’। সূর্যকে বড়জোর ৩ মিনিট ৪০ সেকেন্ড এই অবস্থায় দেখা যায়।
সূর্যগ্রহণ কি?
জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে, চাঁদ সূর্যকে অতিক্রম করার সময় যখন ৯৭ শতাংশ ঢেকে ফেলবে, তখনই সূর্যকে রক্তিম আংটির মতো দেখা যাবে। চাঁদ যখন পরিভ্রমণরত অবস্থায় কিছু সময়ের জন্য পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে এসে পড়ে, তখন পৃথিবীর কোনো দর্শকের কাছে সূর্য কিছু সময়ের জন্য আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে যায়। এই ঘটনাকে সূর্যগ্রহণ বলা হয়। অমাবশ্যার পরে নতুন চাঁদ উঠার সময় এ ঘটনা ঘটে। পৃথিবীতে প্রতি বছর অন্তত দুই থেকে পাচঁটি সূর্যগ্রহণ দেখা যায়। এর মধ্যে শূন্য থেকে দুটি পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হয়।
স্বাভাবিকভাবেই এই মহাজাগতিক দৃশ্য দেখতে অনেকেই হয়তো উৎফুল্ল হয়ে চোখ রাখবেন আকাশে। কিন্তু গ্রহণ দেখার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করার কথা জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। সঠিক পদ্ধতি ও নিরাপদে গ্রহণ দেখার যন্ত্রপাতি ছাড়া গ্রহণ দেখতে গেলে অতিবেগুনি রশ্মি ও ইনফ্রারেড রশ্মির আঘাতে রেটিনায় বড় সমস্যা তৈরি হতে পারে।
চক্ষু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক মুহূর্তের জন্যও সূর্যের দিকে খালি চোখে তাকানো উচিত নয়। এমনকি যদি গ্রহণে ৯৯ শতাংশ সূর্যকেও ঢেকে ফেলে চাঁদ, তাহলেও অবশিষ্ট রশ্মি চোখের ক্ষতি করার পক্ষে যথেষ্ট।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, যথাযথ সোলার ফিল্টার যার তেজস্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে সঠিক অপটিক্যাল ঘনত্ব রয়েছে তা দিয়ে গ্রহণ দেখা যেতে পারে। যথাযথ স্থূলত্বের অ্যালুমিনিয়াম মিলার ফিল্ম এবং দৃশ্যমানতা যুক্ত কালো পলিমারও নিরাপদ। এগুলি গ্রহণ দেখার বিশেষ গগলসে থাকে। ওয়েল্ডার্স গ্লাস নম্বর ১৪-ও সোলার ফিল্টার হিসেবে দারুণ কার্যকর। তবে পিনহোল ক্যামেরা অথবা টেলিস্কোপ প্রোজেকশনের মাধ্যমে সূর্যগ্রহণ দেখাই গ্রহণ দেখার সেরা উপায়। অন্যদিকে সানগ্লাস, স্মোক গ্লাস, কালার ফিল্ম দিয়ে গ্রহণ দেখা একেবারেই উচিত নয়।
এই ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানা যায়,যেহেতু আজ আকাশ পরিষ্কার ছিল তাই চট্টগ্রাম থেকে আংশিক দেখা মিলে। এই অগ্নিবলয় সূর্যগ্রহণ। চট্টগ্রামে এই সূর্যগ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল ৮টা ৫৫ মিনিট হয়ে ৩৬ সেকেন্ডে এবং তা শেষ হয়েছে বেলা ১১টা বেজে ৫৮ সেকেন্ডে।