রনি মোহাম্মদ, লিসবন,পর্তুগাল প্রতিনিধি:
পর্তুগাল সহ ইউরোপে প্রায় দশ লাখের অধিক প্রবাসী বাংলাদেশি বসবাস করেন। বিশেষ কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই করোনা মহামারির বিপর্যয়ের মধ্যে সাদামাটা ভাবেই নিষ্প্রাণ ঈদুল ফিতর পালন করেছে এখানকার রেমিট্যান্স যোদ্ধারা।
পর্তুগালে জরুরী অবস্থা পুরোপুরি শিথিল না হওয়াই এবং পর্তুগাল সরকারের ১০ জনের বেশী এক সাথে জনসমাগমের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় এবার ঈদের জামাত করার অনুমতির পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তাই অন্যান্য বছরের মতো বিশেষ কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই এবার প্রাণঘাতী কোভিট-১৯ করোনার মহামারির কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সাদামাটাভাবে ঘরে বসেই ঈদের নামায সহ ঈদ উদাযাপন করছে পর্তুগালের প্রায় ২০ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশি সহ বিভিন্ন দেশের ১ লক্ষ ধর্মপ্রাণ মুসলিম।
করোনা মহামারি সঙ্কট ও পর্তুগালের পরবর্তী অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের বেশিরভাগই অর্থনৈতিক ও কর্মহীন হয়ে পড়ায় অন্যান্য বছরের মতো ব্যস্ততাও দেখা যাইনি বাংলাদেশি অধ্যুষিত দোকান গুলোতে। পর্তুগাল সরকারের তথ্যমতে বর্তমানে পর্তুগালে বেকারত্বের সংখ্যা ১৪.৮%। বেসরকারী হিসেব মতে ক্যাথোলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জরিপে প্রায় ২৭% থেকে ৩০%। যার ফলে বেকারত্বের দুর্দশার ও এই অনিশ্চিত অর্থনৈতিক ধাক্কা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন অনেক প্রবাসীরা।
পর্তুগাল প্রবাসী ফয়েজুল ইসলাম বলেন, আনন্দ-বেদনার ঈদের নাম হচ্ছে প্রবাসের ঈদ। অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও নিজের মতো করে আনন্দ খুঁজে নেওয়া চেষ্টা এবার। ঘরেই ঈদের নামাজ আদায় করলাম। জানি না আর কতদিন এভাবে থাকতে হবে। কর্মহীন ছন্দপতন ছাড়াই ঈদের দিনটা নিরানন্দেই কাটবে আমাদের মতোই সকল প্রবাসীদের।
এদিকে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে পর্তুগাল প্রবাসী বাংলাদেশি ও দেশে অবস্থিত প্রবাসীদের পরিবারের সদস্য সহ সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশ দূতাবাসে পর্তুগাল।