নিরব আহমেদ রুমন, এথেন্স, গ্রীস থেকে:
২০ জুন, ২০২০ শনিবার অমোনিয়া স্কয়ারে ছাত্র ইউনিয়ন, ট্রেড ইউনিয়ন ও বিভিন্ন রিফিউজি সংগঠন এর উদ্যোগে অভিবাসীদের বৈধকরণ সহ সকল সুবিধা আদায়ের দাবীতে এক বিশাল আন্দোলনে কেঁপে উঠেছে গ্রীস। অভিবাসী ও শরনার্থীদের উচ্ছেদ, বাসস্থান ব্যবস্থা, গ্রীক সরকারের সাম্প্রতিক প্রশ্নবিদ্ধ আইন, এস্যাইলাম আইন শিথিলকরণ, সীমান্ত সমাধান এবং বৈধতার এই আন্দোলনে স্থানীয় গ্রীক জনগণ এবং বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের ঢল নেমেছিলো। গ্রীস সময় দুপুর ২টা থেকে আন্দোলন শুরু হয়ে সংসদভবন সিনটাগমা পর্যন্ত গিয়ে থেমেছে।

বিভিন্ন রিফুজি সংগঠন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এই আন্দোলনে বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের দেখা গেলেও এক পর্যায়ে বাংলাদেশি অভিবাসীদের বন্যা বয়ে গেছে। হাজারো বাংলাদেশিকে গণ-মিছিল করতে দেখা যায়। গ্রীসের ইতিহাসের এরকম আন্দোলন খুব বেশি দেখা না গেলেও সাম্প্রতিক গ্রীক সরকারের শরনার্থী ও অভিবাসীদের বিপক্ষে প্রশ্নবিদ্ধ আইনকরণ, এস্যাইলাম কঠোরতা, সীমান্ত বন্ধ এবং শরনার্থী শিবির থেকে উচ্ছেদকরণের ফলে প্রতিনিয়ত আন্দোলন হচ্ছে এবং আগামীতে বেশ কয়েকটি আন্দোলনের প্রস্তুতি চলছে।

আগামী ২৬শে জুলাই গ্রীস, কেরফা সংগঠন দ্বারা বেশ কয়েকটি রিফুজি সংগঠন এবং বিভিন্ন দেশের কমিউনিটির সমন্বয়ে অভিবাসীদের অধিকার আদায়ের বিশাল বড় এক আন্দোলনের কথা রয়েছে। এতে অভিজ্ঞরা মনে করেন কেরফাএকটি রাজনৈতিক সংগঠন। যদিও রাজনৈতিক সংগঠন প্রটোকলে বাংলাদেশ কমিউনিটির নিচে অবস্থান করছে এই সংগঠনের সাথে আন্দোলনে যাওয়াটা কতটুকু যুক্তিসম্মত যা বোধগম্য নয়। গ্রিক গোয়েন্দা সংস্থা ধারণা করছে। কিছু মানুষ তারা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য বাইরের রাষ্ট্রের সাথে হাত মিলিয়ে আন্দোলনে যাচ্ছে। তাদের ধারণা কতটুক সত্য তার জন্য ২৬ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

শনিবার যে আন্দোলন হয়ে গেল তা নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হয়েছে। বিভিন্ন দেশের অভিবাসীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভালো ফলাফল না আসা পর্যন্ত, তারা গ্রীক সরকারের কাছে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে, তাদের সকল সুযোগ-সুবিধা এবং বৈধতার ব্যাপারে আকুল আবেদন অব্যাহত রাখবে।