নিরব আহমেদ রুমন, এথেন্স, গ্রীস: আসুন আলোচনার পূর্বে একনজরে দেখে নিই আগস্ট মাসে গ্রীসে করোনায় নতুন আক্রান্তের সংখ্যা। ১লা আগস্ট আক্রান্ত হয়েছে ১১০ জন, ০২/০৮ এ আক্রান্ত হয়েছে ৭৫ জন, ০৩/০৮ এ আক্রান্ত হয়েছে ৭৭ জন, ০৪/০৮ এ আক্রান্ত হয়েছে ১২১ জন, ০৫/০৮ এ আক্রান্ত হয়েছে ১২৪ জন, ০৬/০৮ এ আক্রান্ত হয়েঠে ১৫৩ জন যা করোনা মহামারী শুরু হবার পর থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যা। তবে মৃত্যুহার বাড়েনি। গ্রীস পুণরায় দ্বিতীয় ধাপে করোনা মহামারীর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০০ ছাড়িয়েছে।
গ্রীসের সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ প্রফেসর নিকোস সিপসাস স্কাই টিভিতে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আপনারা মনে করবেন না করোনা মহামারী শেষ হয়ে গিয়েছে, এর পরিণাম সুদূরপ্রসারী। আমরা যেন একটি পাতলা বরফখন্ডের উপর দাঁড়িয়ে আছি, যে কোন সময় ভেংগে পড়তে পারে’। দেশের নাগরিক ও পর্যটকদের গ্রীষ্মকালীন আনন্দ ও বিশ্রামে সামাজিক দুরত্ব, মাস্ক ব্যবহার সহ আরো সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানান তিনি। লকডাউন তুলে দেয়া, সরকারি দায়সারা ভাব ও ট্যুরিজম এর জন্য মূলত দায়ী।
কি করণীয় এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের টেবিলে নানা প্রস্তাবনা জমা হয়েছে লোকাল লকডাউন ও বিশেষ বিশেষ সেক্টরে লকডাউনের সিদ্ধান্ত আলোচনাধীন। আগস্টে লকডাউন দিলে গ্রীসের অর্থনীতি ও পর্যটন হুমকীর মুখে পড়বে। গ্রীস আগে থেকেই ঋণগ্রস্ত। শিল্পবাণিজ্য ব্যহত হলে গ্রীস ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলে মনে হয় না। জনগণকে করোনাভাতা দেয়ার মত যথেষ্ট অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে নেই। ৪০% মানুষ এমনিতেই বেকার হয়ে পড়েছে।করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে পারবে তো গ্রীস?
এদিকে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে, জানিনা কি আছে আমাদের ভাগ্যে!! গ্রীসের বিরোধী দলীয় নেতা আলেক্সিস সিপরাস বলেন, ‘আমরা আবারো মস্তবড় জিরোর দিকে ধাবিত হচ্ছি।’ এদিকে পারোস, মিকোনেস৷ সান্তরীনিতে হোটেল, বার, নাইট ক্লাব আইন শৃংখলা বাহিনীর ব্যাপক অভিযান, চেক, জরিমানা, গ্রেফতার অব্যাহত রাখা হয়েছে। পারোসে ৬টি নাইট ক্লাব ১৫ দিনের জন্য বন্ধ করে দেয়া হয়।