জাহাঙ্গীর আলম শিকদার, লন্ডন, যুক্তরাজ্য প্রতিনিধি: শোকাবহ ১৫ আগস্ট, জাতীয় শোক দিবস। বাঙালি জাতির শোকের দিন। ইতিহাসের কলঙ্কিত কালো দিন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে সংঘটিত হয়েছিল এ কলঙ্কিত অধ্যায়। এ দিনে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল ক্ষমতালোভী নরপিশাচ কুচক্রী মহল। তারই ধারাবাহিকতায় গৌরব ৭১ যুক্তরাজ্যের আয়োজনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তারঁ পরিবারের সদস্যসহ যারা ঘাতকের নিমর্ম বুলেটে প্রাণ হারিয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে প্রথমে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পূর্ব লন্ডনের মেনর পার্কের প্রিন্স কফি হলে উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক কবিরুল ইসলাম কামাল। অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন সিনিয়র সহ-সভাপতি হাকিম সিকদার, নাসির উদ্দিন ফিরোজ, রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী মিজান, ফকির মোহাম্মদ মিলন, জাহাঙ্গীর আলম, মুহ বাবু সহ অনেকেই।
শুরুতে বঙ্গবন্ধু সহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা মনিরুল ইসলাম এবং শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
আলোচনা সভার পূর্বে শিশু কিশোর এবং পরে গৌরব ৭১ যুক্তরাজ্যের নেত্রীবৃন্দর সঙ্গে অতিথিবৃন্দ জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
কামরুজ্জামান দুলালের পরিচালনায় দ্বিতীয় পর্ব সংগঠনের সদস্যদের শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন- ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুননেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু পুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। পৃথিবীর এ জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ ও মেয়ে বেবি, সুকান্তবাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে যুবনেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মণি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন। এ সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।
অনষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- আবু সাঈদ উপ-প্রচার সম্পাদক যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ, ড. বি এম আ: রাজ্জাক, ব্যারিস্টার হাফিজ, উপদেষ্টা যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ, আতিয়ার রসুল কিটন, সাবেক সভাপতি আওয়ামী যুবলীগ ইতালি, হাকিম সিকদার, সি সহ সভাপতি গৌরব ৭১, আক্তার হোসেন বাচ্চু, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ যুক্তরাজ্য, হাবিবুর রাহমান শহিদ, ফখরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাকিম উদ্দিন, সোহেব দেওয়ান, মহসিন উদ্দিন আহম্মেদ, আনোয়ার খান, আহাম্মেদ রাজু, আমিনুর রহমান, শাজাহান মোহাম্মদ, জাহাঙ্গীর আলম, সাগর, নাজমা সুলতানা সহ আরো বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেত্রীবৃন্দ।
বক্তাগণ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা নির্মাণে বাঁধা সৃষ্টিকারী লুটেরা, সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ, অর্থচারকারী ও সকল ষড়যন্ত্র রুখে জননেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করার শপথ গ্রহণ করেন এবং সামনে নির্বাচন, জননেত্রী কোন বিকল্প নেই। সকল প্রবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে জয়যুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বক্তাগণ আরো বলেন- খুনিদের যারা মদত দিয়েছিল কমিশন গঠন করে তাদেরকেও খুঁজে বের করতে হবে। পরিশেষে সভাপতির সমাপনী বক্তব্য এবং গণভোজের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।