এনগায়ার উডস, অক্সফোর্ড, যুক্তরাজ্য:
২০২৪ সাল বিশ্বজুড়ে নির্বাচনের বছর হিসাবে নানাভাবে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। আবার বছরটি বিশ্বের বহু ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক নেতাদের জন্য নৃশংসতম বছর হিসেবেও ইতিহাস হয়ে থাকবে। কারণ তাদের বাকসর্বস্ব প্রতিশ্রুতির আড়ালে পরিচালিত দুঃশাসনের বিরুদ্ধে মোহভঙ্গ জনগণ রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভ জানিয়ে পরিবর্তনের দাবি তোলে। ফলে তাদের কেউ ক্ষমতা ছেড়ে দেন, কেউ গদিচ্যুত হয়ে দেশ থেকে পালিয়ে যান। তাই নতুন বছরে, নতুন সময়ের রাজনৈতিক নেতাদের অবশ্যই তাদের পূর্বসূরিদের যারা জনকল্যাণে দেশ শাসনের সাহসী ভূমিকা রেখেছেন তাদের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে হবে এবং ভবিষ্যতের জন্য এমন একটি ভিশন তৈরি করতে হবে যাতে জনগণ তথা ভোটারদের আশা-আকাঙ্খা ও চাহিদার প্রতিফলন ঘটে।
২০২৪ সালটি কেন ঐতিহাসিক বছর হিসেবে বিশিষ্ট হয়ে থাকবে? ভবিষ্যতে অধিকাংশ মানুষ এর উত্তরে বলবেন, এটি সেই বছর যে বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বহু ক্ষমতাসীন স্বৈরাচারী রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি জনগণ অনাস্থা জানিয়ে তাদের পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছেন অথবা তাদেরকে জোরপূর্বক ক্ষমতা থেকে অপসারণ করেছিলেন। এবং তাদের অনেকেই প্রাণ-ভয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। এমন উত্তর আমাদের কি শিক্ষা দেয়? এ প্রসঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের মন্ত্রিপরিষদ বিষয়ক মন্ত্রী মোহাম্মদ আল গেরগাভির একটি কথা আমরা স্মরণ করতে করতে পারি। তিনি বলেছেন, ‘দেশ শাসনে সরকারের ভূমিকা হলো এমন একটি ভবিষ্যত তৈরি করা যা জনগণের জন্য আশা-আকাঙ্খা তৈরি করে এবং তা বাস্তবায়ন করে। ২০২৫ সালের দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের গেরগাভির এই বার্তাটি হৃদয়ে ধারণ করা উচিত এবং তাদের মনোযোগ ক্রমাগত সংকট ব্যবস্থাপনা থেকে সরিয়ে জনগণের আশা আকাঙ্খার প্রতিফলন ঘটে এমন সাহসী, আশাব্যঞ্জক এজেন্ডা তৈরিতে স্থানান্তর করা উচিত।
২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী দেশে দেশে ক্ষমতাসীন নেতাদের অপশাসনের প্রতি ক্ষমতাবিরোধী বিক্ষোভতরঙ্গ শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিলো। তার কিছু উদাহরণ দেয়া যাক। মার্চ মাসে সেনেগালের প্রেসিডেন্ট ম্যাকি সাল নির্বাচন স্থগিত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট পদে চূড়ান্তভাবে পরাজিত হন। জুন মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্ষমতাসীন দল আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস (এএনসি) এর তিন দশকের টানা শাসনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনে প্রথমবারের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে দলটি জোট সরকার গঠন করতে বাধ্য হয়। একই মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)ও তাদের লোক সভা নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়ে গদি বাঁচাতে ছোট ছোট দলের নেতাদের সমর্থন পেতে পা চেটেছেন।
এই প্রবণতা গ্রীষ্ম এবং শরতের মধ্যেও অব্যাহত ছিল। জুলাই মাসে যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টি সাধারণ নির্বাচনে জয়লাভ করে কনজারভেটিভ পার্টির ১৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটায়। অক্টোবরে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইশিবা শিগেরুর ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ২০০৯ সালের পর প্রথমবারের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়। ডিসেম্বর মাসের শুরুতে তিন মাস আগে নিয়োগ পাওয়া ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী মিশেল বার্নিয়ার পার্লামেন্ট সদস্যদের অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন। কিছু দিন পরে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ আস্থা ভোটে হেরে আগাম নির্বাচন দিতে বাধ্য হন। একই সময়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো তার অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড-কে বরখাস্ত করেছেন এ কারণে যে ফ্রিল্যান্ড দেশকে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে নিমজ্জিত করছেন। এরই মধ্যে জাস্টিন ট্রুডোও পদ্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন।
এছাড়া দীর্ঘকাল শাসন করা অনেক নেতা গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন। আগস্টে রক্তাক্ত গণবিক্ষোভের ফলে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫ বছরের ক্ষমতা ছেড়ে একটি সামরিক হেলিকপ্টারে চড়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন। তার বিরুদ্ধে একতরফা নির্বাচন করা সহ সরকারি অ্যাপারেটাস ব্যবহার করে বিরোধীমতের বহু রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের গুম-খুনের অভিযোগ রয়েছে। একারণে তিনি বাংলাদেশে জনগণের কাছে অনেকটা ‘এনিমি অফ দ্য পিপল’-এ পরিণত হয়েছেন। তিনি পালিয়ে যাওয়ার পর বিক্ষোভকারীরা তার সরকারি বাসভবন এবং পার্লামেন্ট ভবন দখল করে নেয়। তার সরকারের বেশির ভাগ মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরাও দেশ থেকে পালিয়ে যায়। অন্যদিকে ডিসেম্বরের শুরুতে গণঅভ্যুত্থানের মুখে টিকতে না পেরে দুই যুগ ধরে ক্ষমতায় থাকা সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ রাশিয়ায় পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।
দেশে দেশে ক্ষমতাসীনরা কেন এভাবে হেরে যাওয়ার ন্যাক্কারজনক উদাহরণ হচ্ছেন? এর একটি সম্ভাব্য কারণ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগ মিডিয়াকে বিবেচনায় আনা যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, ইন্টারনেট অ্যাক্সেস বৃদ্ধি প্রায়ই সরকারের প্রতি আস্থা নষ্ট করে এবং তা রাজনৈতিক মেরুকরণকে গভীরভাবে শক্তিশালী করে। এর একটি জলন্ত উদাহরণ ২০২৪ সালের নভেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সেখানে দেখা যায় ডেমোক্র্যাটিক এবং রিপাবলিকান উভয় পার্টির প্রতি দোদুল্যমান থাকা ভোটাররা ক্রমবর্ধমান হারে মেরুকরণ হয়ে উঠেছে। ফলে প্রতিটি পক্ষই তাদের পক্ষে ভোটারদের সমর্থন আদায়ে আরও গভীরভাবে আবদ্ধ হয়ে পড়েছিলো।
নিবিড় গবেষণায় আরও দেখা গেছে, সোশ্যাল মিডিয়া এমন লোকেদের মধ্যে সংযোগ বাড়ায় যারা একই ধরনের বিষয়বস্তু ব্যবহার করে তাদের চিন্তাকে শক্তিশালী করে এবং পারস্পরিক সাদৃশ্য তৈরির মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের মনস্তাত্ত্বিক প্রভাবকে প্রসারিত করে। সোশ্যাল মিডিয়া প্রক্রিয়াগুলি সাধারণ এবং চার্জযুক্ত বার্তা প্রবাহ প্রচারের কারণে শক্তিশালী মেগাফোন হিসাবে কাজ করে যা এই প্ল্যাটফর্মগুলিকে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব এবং ভয় দেখানোর জন্য উর্বর জায়গা করে তোলে।
কিন্তু প্রাথমিক প্রমাণ দেখায় যে, সোশ্যাল মিডিয়া চরম ডানপন্থী পপুলিস্টদের সমর্থন করে। কিন্তু সাম্প্রতিক নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় এটি সর্বদা ক্ষমতা অর্জনের জন্য যথেষ্ট নয়। যেমন মেক্সিকো, স্পেন, গ্রীস, আয়ারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, জাপান এবং দক্ষিণ আফ্রিকায়, ক্ষমতাসীন বা অন্যান্য মূলধারার রাজনৈতিক দলগুলি উল্লেখযোগ্যভাবে দূর্বল হলেও বিজয়ী হয়েছে।
ফলস্বরূপ, ২০২৪ সালকে ঐতিহাসিক নির্বাচনের বছর বিবেচনা করে একটি স্পষ্ট শিক্ষা লাভ কয়া যায়। তা হলো সরকারগুলিকে অবশ্যই সামাজিক মিডিয়াকে আরও কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে শিখতে হবে। শুরু করার জন্য একটি ভালো উপায় হলো জনগণের উদ্বেগের সাথে সরকারের সরাসরি যুক্ত হওয়া। এতে তাদের সম্পর্কে জনগণ কী ভাবছে তা তারা জানতে পারবেন। ২০২৪ সালের শুরুতে, যুক্তরাজ্যের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমারের দুই উপদেষ্টা উত্তর-পূর্ব ইংল্যান্ডের গ্রিমসবি শহরে গিয়েছিলেন এবং বাসিন্দাদের এক কথায় সরকারকে তারা কিভাবে মূল্যায়ন করবেন তা বর্ণনা করতে বলা হয়েছিলো। তখন সরকার সম্পর্কে তারা উচ্চারিত কিছু কমন কথা বলেছেন। আর সেগুলো হলো- ‘অপ্রাসঙ্গিক,’ ‘স্বৈরাচারী,’ ‘দূরবর্তী,’ ‘অভিজাত,’ ‘অগম্য,’ ‘স্ব-সেবামূলক,’ ‘অভিমানী,’ ‘অবিশ্বাসযোগ্য,’ ‘কৌতুক’ ইত্যাদি। তারা যে প্রতিক্রিয়াগুলি দেখিয়েছেন তা আমি অন্য অনেক দেশের জনগণের কাছে যা শুনেছি তা মোটামুটি একই ধরনের- অনেকটা আয়নায় যেমন অবিকল প্রতিবিম্বের প্রতিফলন।
আরেকটি বড় উপায় হলো আস্থা পুনরুদ্ধার করতে নেতাদের উচিত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং নাগরিকদের ক্ষমতায়নের দিকে মনোনিবেশ করা। পপুলিজমের রাজনৈতিক অর্থনীতির একটি ‘বিস্তৃত সমীক্ষা-২০২২’-এ দৃঢ়ভাবে প্রমাণ তুলে ধরে যে অর্থনৈতিক অবস্থা, যেমন ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব, সামাজিক ব্যয় হ্রাস এবং বাকস্বাধীনতা- এগুলো সরকারের প্রতি জনগণের দৃষ্টিভঙ্গির উপর গভীর প্রভাব ফেলে।
কিছু উদাহরণ আমাদেরকে এটি ব্যাখ্যা করতে সাহায্য করবে। যেমন- কেন ২০২৩ সালে স্পেন এবং গ্রিসের ভোটাররা, ২০২৪ সালে আয়ারল্যান্ডের ভোটাররা ক্ষমতাসীন নেতাদের পুনরায় নির্বাচিত করতে বেছে নিয়েছিলেন, যখন ফরাসি ভোটাররা ক্ষমতাসীন দলকে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন?
এর কারণ হিসেবে বিশ্লেষকরা বলেছেন, ২০২২ সালে স্পেনের অর্থনীতি ৫.৭ শতাংশ এবং গ্রিসের অর্থনীতি ৬.২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিপরীতে, জার্মানিতে বিদায়ী সরকারি দলগুলি ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের আগে নাগরিকদের কাছে উপস্থাপিত প্রতিশ্রুতি ভুলভাবে তুলে ধরেছেন। সেখানে ২০২৩ সালে অর্থনীতি ০.৩ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে এবং ২০২৪ সালে ০.১ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ফ্রান্স কিছুটা ভালো করেছে। সেখানে প্রবৃদ্ধির অনুমান করা হয়েছে ২০২৪ সালে ১.১ শতাংশ, ২০২৩ সালে ছিল ০.৯ শতাংশ।
স্বল্পমেয়াদী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর বাইরে, রাজনৈতিক নেতাদের অবশ্যই তাদের নাগরিকদের জন্য আকর্ষণীয় ভবিষ্যত অফার করতে হবে এবং তা বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। অনেক রাজনীতিবিদ এবং নীতিনির্ধারকদের পরিকল্পনা বার্ষিক বাজেট চক্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। মূলত তারা কাটছাঁটের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে থাকেন। ইতিমধ্যে ক্রমবর্ধমান জীবনযাত্রার ব্যয়, মহামারী পরবর্তী কঠোরতার ফলে ভোটারদের মধ্যে এমন একটি গভীর মানসিক অবস্থার জন্ম নিয়েছে যে তারা তাদের জীবনের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছেন। তাই তারা মনে করে তাদের এমন নেতাদের প্রয়োজন যারা তাদের আশা আকাঙ্খা পূরণ করতে পারবে।
জনগণের জন্য একটি ভালো ভবিষ্যতের পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে ব্যর্থ হওয়ার জন্য বাজেটের সীমাবদ্ধতাকে একটি অজুহাত হিসাবে দেখা উচিত নয়। অর্থনৈতিক দুর্দশার সময়ে আগেকার রাজনৈতিক নেতাদের কিছু সাহসী সরকারি উদ্যোগ উদাহরণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। উল্লেখযোগ্য উদাহরণগুলির মধ্যে রয়েছে গত শতাব্দীর ত্রিশের দশকে মহান্দার সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্কলিন ডি. রুজভেল্টের ১৯৩০ এর নতুন চুক্তি, ব্রিটেনের যুদ্ধোত্তর কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা, দুবাইয়ের ১৯৫৮ পরবর্তী অবকাঠামোগত ব্যাপক উন্নয়ন এবং ১৯৫৯ সালের পর সিঙ্গাপুরের দ্রুত উন্নয়ন পরিকল্পনা। রাজনৈতিক নেতাদের অবশ্যই তাদের পূর্বসূরীদের ঐইসব সাহসী কর্মসূচি থেকে অনুপ্রেরণা নিতে হবে এবং তাদের নাগরিকদের হতাশার মূল কারণগুলিকে দূর করতে আরও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
সরকারের জন্য একটা আশার বিষয় আছে এই যে, প্রতিটি দেশ ও জাতির সরকারি বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রেই সৃজনশীল ব্যক্তি রয়েছেন। সরকারের উচিত তাদের মেধা-প্রজ্ঞা ও কর্মের বিকাশের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। নেতাদের অবশ্যই এই জাতীয় স্বপ্নদর্শীদের সনাক্ত করতে হবে এবং তাদের কাছে পৌঁছাতে হবে। এভাবে তাদের জ্ঞান ও দক্ষতার যথোপযুক্ত ব্যবহার করে দেশ-জাতি ও জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা যায়।
গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে আশার রাজনীতি অপরিহার্য। ইংল্যান্ডের গ্রিমসবিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়ও তারা অনুরূপ ইঙ্গিত দিয়েছেন। তারা বলেছিলেন যে, জনগণ এমন একটি রাজনীতির জন্য আকাঙ্খা করে যা হবে- ‘গণমূখী’ ‘বাস্তববাদী’, ‘অর্থপূর্ণ’ ‘উৎসাহী’, ‘আশাবাদী’ এবং ‘জনগণের ক্ষমতায়নে অঙ্গীকারাবদ্ধ’। যে সরকার জনগনের এই আকাঙ্খাগুলি পূরণ করতে পারবে সে সরকার তার নাগরিকদের কাছে ‘আস্থাযোগ্য’ বলে বিবেচিত হবে।
এনগায়ার উডস: অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্লাভাটনিক স্কুল অফ গভর্নমেন্টের ডীন
স্বত্ব: প্রোজেক্ট সিণ্ডিকেট
অনুবাদ: শহীদ রাজু।