অসীম বিকাশ বড়ুয়া, দক্ষিণ কোরিয়া থেকে: অবশেষে বহুল আলোচিত করোনা ভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুনজে-ইনের ১৫ ট্রিলিয়ন কোরিয়ান ওন (১৩.২ বিলিয়ন ডলারের বেশি) `করোনা তহবিলের’ অতিরিক্ত বাজেট পাস হয়েছে। সম্প্রতি কোরিয়ার জাতীয় পরিষদ সংসদে একটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনের মাধ্যেমে পরিপূরক বাজেট বিলটি অনুমোদন করে।
বছরব্যাপী করোনা মহামারী দ্বারা ক্ষতিগ্রস্তদের এবং ছোট ব্যবসায়ীদের সহায়তার জন্য ভোটাভুটিতে বিলটির পক্ষে ২৪২ ভোট ও বিপক্ষে ৬ ভোট পড়ে।
এই বিলের ফলে দেশটির ৫৬ মিলিয়ন নাগরিক ও প্রায় পনেরো হাজার বাংলাদেশিসহ সকল অভিবাসীরা উপকৃত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিশালতম এই বিলে দক্ষিণ কোরিয়ার অবস্থান আরও দৃঢ় ও সমৃদ্ধ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মুনজে-ইন।
গত বছরের জানুয়ারিতে দক্ষিণ কোরিয়ায় নতুন করোনা ভাইরাসটির প্রথম রোগী সনাক্ত হওয়ার প্রায় চৌদ্দ মাস পরে সর্বশেষ তম এই বিলটি পাস হওয়ার ফলে দেশে বেকার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের এবং অন্যান্য দূর্বল লোকদের বাছাই করে উপকৃত করবে। এর আগে এ ধরনের এইড প্যাকেজের আওতায় চতুর্থ দফায় দেশটি জরুরী ত্রাণ সহায়তা দিতে সক্ষম হয়েছে।
অনুমোদিত অতিরিক্ত বাজেটের প্রায় ১০ ট্রিলিয়ন কোরিয়ান ওন সরকারী বন্ড প্রদানের মাধ্যেমে অর্থ ব্যয় করা হবে এবং বাকিটি জাতীয় বাজেট থেকে বরাদ্দ করা হবে।
নতুন পরিপূরক বাজেটের একটি বড় অংশ ৭ দশমিক ৩ ট্রিলিয়ন কোরিয়ান ওন ছোট ব্যবসায় এবং স্ব-কর্মসংস্হানের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।ভ্রমণ এবং শিল্প সেক্টর গুলোসহ উচ্চ স্তরের সামাজিক দুরত্বের দিক নির্দেশনা গুলোর কারণে ক্রমবর্ধমান বিক্রয় মূলক ব্যবসার ক্ষতি হয়েছে।
তবে, মহামারীটির চলমান অর্থনৈতিক সংকট কাটিয়ে উঠার জন্য প্রতিটি ছোট ব্যবসায়ীকে পাঁচ মিলিয়ন কোরিয়ান ওন পর্যন্ত সরবরাহ করা হবে।প্রায় ১ দশমিক ১৫ মিলিয়ন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত বাজেটের সুবিধাগুলির আওতায় তিন মাসের মেয়াদে তাদের বৈদ্যুতিক চার্জ ৫০ শতাংশ অব্যাহতি দেওয়া হবে ।
এছাড়া বাজেটের আরও ৪ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন কোরিয়ান ওন ভ্যাকসিন ক্রয় সহ জাতীয় কোভিড-১৯ টিকাদান কর্মসূচির ব্যয়ভার বহন করবে। বাকীগুলি সাব কন্ট্র্যাক্ট কর্মী,ফ্রিল্যান্সার এবং অন্যান্য দূর্বল কর্মচারীদের করোনা মহামারীর পরে কর্মসংস্থানের সংকটে সহায়তা করতে ব্যয় করা হবে।
এছাড়াও কোরিয়ার গিয়ংগিদোর অঞ্চল গুলোতে প্রত্যেক বিদেশীদের এক লক্ষ কোরিয়ান ওন করোনাকালীন ত্রাণ সহায়তা দেওয়া শুরু হলেও নতুন করে সরকার মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকে দেশ জুড়ে সকল অভিবাসীদের ত্রাণ সহায়তা বিতরণের পরিকল্পনা গ্রহন করেছে ।