শেখ এহছানুল হক খোকন, কুয়েত সিটি, কুয়েত প্রতিনিধি: ১৬ মার্চ শনিবার বিকাল ৩ টায় বাংলাদেশ দূতাবাস কুয়েত এর মাল্টিপারপাস হল রুমে বঙ্গবন্ধুর ৯৯ তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত হয়।
কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালামের সভাপতিত্বে ও কাউন্সিলর দূতালয় প্রধান মোঃ আনিছুজ্জামান এর সঞ্চালনায় এসময় ব্রিগিডিয়ার শাহ সগিরুল ইসলাম, কাউন্সিলর (পাসর্পোট ও ভিসা সচিব) জহিরুল ইসলাম খাঁন,সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা মোঃ জাকিরহোসেনমজুমদার, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, সাজেদুল ইসলাম, সহ কুয়েতে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ ও পরিবার বর্গ উপস্থিত ছিলেন।

পবিত্র কোরআন থেকে ফরিদ উদ্দিন এর তেলোয়াতের মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠান শুরু হয়। বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এর পরে দূতাবাসের কর্মকর্তারা বাংলাদেশ থেকে পেরিত বাণী সমূহ একে একে পাঠ করেন দূতাবাস কর্মকর্তারা। বঙ্গবন্ধুর উপর প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন ও দিবসের উপর আলোচনা করা হয়।
এছাড়া দিবসটিকে ঘিরে দূতাবাসে শিশুদের চিত্রান্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে ৪টি বিভাগে প্রায় শতাধিক শিশু কিশোর অংশগ্রহন করে। শিশুরা শহীদ মিনার, বঙ্গবন্ধু, স্মৃতিসৌধ ও গ্রাম বাংলার বিভিন্ন দৃশ্য অংকন করে। চারটি বিভাগে চিত্রান্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিশুদের মাঝে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেন রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম ও দূতাবাস কর্মকর্তাবৃন্দগণ ।

বক্তারা বলেন, ৭১ এর পূর্বে যে জাতির সূচনা ঘটতো না বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আর প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে যার নিবেদন ছিল সকলকে উদ্ভুদ্ব করতে বাংলাদেশকে ঘিরে যার জন্য ত্রিশ লাখ শহীদ দুই লাখ মা বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আজ আমরা লাল সবুজের বাংলাদেশ। কবি সাহিত্যিক রাজনীতৈক সহ প্রতিটি স্হানে একটি নাম বাংঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর অন্তর ছিল কোমলমতী শিশু কিশোরদের প্রতি উদ্ভাসিত মমতার পরশ ছিল অন্তর জুড়ে তাই তাদের প্রতি ভালোবাসা ছিল অফুরন্ত ।তাই তার আদর্শ নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে আগ্রহী করবে সে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সকলে।