শেখ এহছানুল হক খোকন, কুয়েত সিটি, কুয়েত প্রতিনিধি: কুয়েতের সালমিয়া অঞ্চলে একটি লাল মসজিদের কাছে ৬ সেপ্টেম্বর ভোরে একটি বাড়ির পিছনে গাছে ফাঁসি দিয়ে এক প্রবাসীর আত্মহত্যা । প্রবাসীর নাম মোঃ মিজানুর রহমান, পিতার নাম মোঃ রিয়াজউদ্দিন গ্রামঃ নয়দক্ষিনবাগ, ইউনিয়নঃ লকনাবন, থানাঃ গোলাপগঞ্জ, সিলেট এর বাসিন্দা।
প্রবাসী মিজানের বোন জামাই ফজলু মিয়া জানান মিজান চার মাস পূর্বে বি.এন.এম.এন নামের একটি কোম্পানীতে কুয়েত আসেন শোন ফ্রী নামে ভিসায়, যার দাম পরে প্রায় আট লাখ টাকায়। চুক্তি ছিল আকামা লাগিয়ে বাহিরে কাজ করার কনট্রাক, সে অনুযায়ী ফজলু মিয়া তার স্ত্রীর ভাইয়ের জন্য ভিসা নেন দালালের মাধ্যমে। ভিসার সব টাকা পরিশোধ করার পরও তার আকামা না লাগায় হতাশায় পরে যায় মিজান ও তার বোন জামাই ফজলু। উপায় বের করতে ছুটে যান দুই মধ্যস্থতাকারীর কাছে, কিন্তু আরো দুই লাখ টাকা পরিমান দিনার বুজিয়ে দিলে আকামা লাগিয়ে দেবে বলে মধ্যস্থতাকারী জানালে মিজান মানসিকভাবে চাপে পড়েন, চুক্তি অনুযায়ী ভিসার সব টাকা পরিশোধ করার পরও বাড়তি টাকা জোগার করা সম্ভব ছিলনা মিজানের। এমতাবস্থায় কাজ নাই, আকামা নাই, ঋণের বোঝা সহ মিজান এর নানা টেনশন বাসা বাধে মনে, তারই কারনে সে আত্মহত্যার মত পথ বেছে নিতে পারে বলে তার বোন জামাই ও অনেকে জানান।
বিশেষ করে প্রবাসীরা বলছে, মধ্যস্থতাকারী দালালদের ভিসা বানিজ্যে ও তাদের অধিক লাভ আর লোভের কারনে শত শত বাংলাদেশি প্রবাসী নানা সমস্যার পাশাপাশি মোকাবেলা মৃত্যুর মুখে ঢলে পরছেন। ৬ সেপ্টেম্বর ভোর ৬টার দিকে পথচারীরা গাছে জুলন্ত লাশ দেখতে পেলে থানায় জানালে, স্থানীয় থানা মিজানের লাশ উদ্ধার করে তদন্তের জন্য নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে যান। বিস্তারিত ময়নাতদন্ত শেষে আরো পরিস্কার তথ্য বের হতে পারে বলে ধারনা করছে বাংলাদেশি কমিউনিটির বিশিষ্টজন ও প্রবাসীরা।