মেহেদী হাসান, কুয়ালালামপুর, মালয়েশিয়া:
পাহাড়, সমুদ্র আর সমতলভূমির সমন্বয়ে অপরূপ সৌন্দর্যের মালয়েশিয়ায় বছর জুড়ে থাকে পর্যটকদের আনাগোনা। একই সঙ্গে এশিয়া এবং ইউরোপ-আমেরিকার স্বাদ পেতে এশিয়া ও আরব অঞ্চলের দেশগুলোর পর্যটকরা ভিড় জমান এখানে। তবে নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করে ইউরোপ-আমেরিকার পর্যটকদের।
বছর জুড়ে ঘুরতে আসা পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে দেশটির রাজধানী কুয়ালালামপুরে গড়ে উঠেছে হাজারো হোটেল, মোটেল। এরই একটি ডব্লিউ হোটেল। বাংলাদেশি মালিকানাধীন এই হোটেলটি অবস্থিত কুয়ালালামপুরের মসজিদ জামেক এরিয়ায় যেখান থেকে খুব সহজেই ট্রেন, বাস কিংবা টেক্সিতে করে শহরের বিভিন্ন স্থান ঘুরতে পারে পর্যটকরা।
মালয়েশিয়ার স্বাধীনতা চত্বর বা মারদেকা স্কয়ারের কোলঘেষা ডব্লিউ হোটেলের পর্যটকরা পায়ে হাটা দূরত্বে ঘুরে দেখতে পারে মসজিদ জামেক, চায়না টাউন, মসজিদ ইন্ডিয়া, সেন্ট্রাল মার্কেট, মসজিদ নিগারা, বুকিত বিনতানসহ বেশ কিছু স্থান। মালয়েশিয়ার ঐতিহ্য কেএলসিসি এবং কেএল টাওয়ারের দূরত্ব এক থেকে দেড় কিলোমিটারের মধ্যে। বিকাল কিংবা সন্ধ্যায় সময় কাটাতে পারেন হোটেল লাগোয়া ‘দ্যা রিভার অব লাইফ’ এর পাশে। যেখানে বর্ণিল আলোয় পানির ফোয়ারা নদীর সৌন্দর্যকে বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।

ডব্লিউ হোটেলে’র স্বত্বাধিকারী প্রবাসী ব্যবসায়ী ওহিদুর রহমান বলেন ” মালয়েশিয়ায় ঘুরতে আসা পর্যটকদের স্বল্প খরচে থাকার সুবিধা দিতে আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। হোটেলের সুযোগ-সুবিধা ও সেবার মান থ্রি-স্টার মানের। পর্যটকদের মালয়েশিয়া ভ্রমণ, বিমানবন্দর থেকে আনা-নেয়া ও টুরিস্ট গাইডে’র ব্যবস্থা রয়েছে ডব্লিউ হোটেলে। ভ্রমণের সময় ট্যুর গাইড পর্যটকদের সার্বক্ষণিক দিক নির্দেশনা ও ভ্রমণ স্থানের বর্ণনা দিবে। ওহিদুর রহমান আরো জানান দ্বিতীয় তলায় হোটেলের নিজস্ব ক্যাফেতে অতিথিদের জন্য সকালে ব্রেকফাস্ট এবং দুপুর ও রাতে খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে । ক্যাফে’তে বসে শহরের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে পারবে পর্যটকরা।”
হোটেলের পাশেই রয়েছে কেএফসি, ম্যাকডোনাল্ডস, বার্গার কিং এর মতো নামি দামি খাবারের দোকান। হাঁটা দূরত্বেই রয়েছে মাইডিন, হানিফা, সোগো, লুলু’র মতো শপিং মল। আছে মালাবার, জয়ালুকাসের মতো ব্রান্ডের সোনার দোকান।
এছাড়া ডব্লিউ হোটেলের বিশেষ অফারের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ট্যুর প্যাকেজ। মাত্র ২৬ হাজার টাকায় ঢাকা-কুয়ালালামপুর-ঢাকা বিমান টিকিট, তিন দিন দুই রাত সকালের নাস্তাসহ হোটেলে থাকা এবং কুয়ালালামপুর শহর ভ্রমণের অফার রয়েছে ডব্লিউ হোটেলের। শুধু কুয়ালালামপুর নয় মালয়েশিয়ার যেকোন প্রান্ত ভ্রমণে পর্যটকদের সেরা সেবা দিয়ে যাচ্ছে ডব্লিউ হোটেল।
আর এসব কারণেই মালয়েশিয়া ঘুরতে আসা পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় বেশ উপরে ডব্লিউ হোটেল। ২০ জুলাই হোটেলটির উদ্বোধনের পর থেকে দেশী বিদেশি পর্যটকদের ভিড়ে মুখরিত হোটেলটি। অতিথিরা হোটেলের সেবায় মুগ্ধতার কথা জানিয়েছে তাদের কমেন্ট বক্সে। সবমিলিয়ে পারিবারিক আবহে ডব্লিউ হোটেলের গুনগত মান নিয়ে প্রশংসার ফুলঝুরি এখন কুয়ালালামপুরে পর্যটকদের মুখে মুখে।
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের ১৯, জালান তুন পেরাকে বাংলাদেশি মালিকানাধীন ডব্লিউ হোটেল তাই বাংলাদেশীদের গর্ব।