শরীফ মিজান, কুয়েত থেকে:
সারা বিশ্বের ন্যায় কুয়েতেও দিন দিন বেড়ে চলছে আক্রান্তের সংখ্যা ও মৃত্যুর মিছিলে যোগ দিচ্ছে আক্রান্ত রোগীরা। কুয়েতে এ পর্যন্ত প্রায় ২০ হাজার আক্রান্ত হয়েছে। সুস্থতা লাভ করে প্রায় ৫ হাজারের মত। প্রায় শতাধিক রোগী মারা যান। কুয়েতে করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারের দেয়া ২২ ঘণ্টা লকডাউন সহ সকল প্রকার নির্দেশনা মেনে সবাই এখন ঘরে অবস্থান করছেন, এ যেন এক অঘোষিত গৃহ বন্দী। সকলের মাঝেই বিরাজ করছে ভীতি ও আতংক, কে কখন আক্রান্ত হয় এ অনিশ্চয়তার মধ্যেই কাটছে প্রবাসীদের প্রতিটি ক্ষণ। এরই মধ্যে কেটে গেল মাহে রমজান, এবার মসজিদ গুলো বন্ধ থাকার কারণে তারাবী, কেয়ামে লাইলের মত মহিমান্বিত রাত্রির ইবাদতগুলো ঘরেই আদায় করতে হয়েছে। ঈদের নামাজও ঘরেই আদায় করতে হবে। কুয়েত সহ সারা বিশ্বেই পালিত হচ্ছে এক ব্যতিক্রমধর্মী ঈদ। নেই কোলাকুলি, নেই ঈদের শুভেচছা বিনিময়! এবার ঈদ যেন ইতিহাস হয়ে থাকবে প্রবাসীদের জীবনে। নেই কোন ঈদের আমেজ, প্রিয়জনের জন্য নেই কোন উপহার সামগ্রী কেনা কাটা, দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে শপিং মল গুলো। সর্বত্রই বিরাজ করছে এক সুনসান নীরবতা, যেন এক ভুতুড়ে গলি। যেখানে ঈদের বেচাকেনায় শপিংমলগুলোতে ছিল ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড়, সেখানে আজ ঝুলছে তালা। এমন নিরানন্দ ঈদ কেউই কোনদিন দেখেনি৷। শত বেদনা থাকা সত্ত্বেও প্রবাসীরা এই আনন্দকে উৎসর্গ করতে চান করোনামুক্ত পৃথিবী উপহার দিতে।
এই ক্রান্তিলগ্নে কুয়েতের আমির শেখ সাবাহ আল আহমেদ ঈদুল ফিতর উপলক্ষে তার ভাষণে সকল স্থানীয় নাগরিক ও সকল প্রবাসীদের ঘরে অবস্থান করার উদাত্ত আহবান জানান। তিনি সকল নাগরিক ও প্রবাসীদের পবিত্র ঈদুল ফিতরের মোবারকবাদ সহ সকল প্রকার নির্দেশনা মেনে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ঘরে অবস্থান করার জন্য শোকরিয়া জ্ঞাপন করেন। কেহ যেন বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাহিরে না যান এবং সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখেন। তিনি তার ভাষণে বলেন যে, শীঘ্রই কুয়েত আবার করোনামুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে ইনশাআল্লাহ। আবারো কর্ম চাঞ্চল্য ফিরে আসবে সবার মাঝে।আল্লাহ আমাদের সহায় হবেন।