প্রবাস মেলা ডেস্ক: বৈধ ব্যবসায়িক কাগজপত্র না থাকায় মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের জালান কেনাঙ্গা এলাকায় ৪৪টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সিলগালা করেছে কুয়ালালামপুর সিটি করপোরেশনের (ডিবিকেএল) এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্ট। এ সময় ২২ বাংলাদেশিসহ ২৯ জন বিদেশিকে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় সময় বুধবার (১১ অক্টোবর) রয়্যাল মালয়েশিয়া পুলিশ (পিডিআরএম), ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্ট, ন্যাশনাল রেজিস্ট্রেশন ডিপার্টমেন্ট (এনআরডি) এবং কোম্পানি কমিশন অব মালয়েশিয়া (এসএসএম) এই অভিযান পরিচালনা করে।
এক বিবৃতিতে কুয়ালালামপুর সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, ফেডারেল টেরিটরি অব কুয়ালালামপুর (ডব্লিউপিকেএল) ২০১৬ উপ-আইন এবং স্থানীয় সরকার আইন ১৯৭৬-এর অধীনে লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা পরিচালনা, বিদেশি কর্মী নিয়োগ এবং লাইসেন্সের শর্ত লঙ্ঘন সম্পর্কিত অপরাধের সঙ্গে জড়িত মোট ৫১টি কম্পাউন্ড নোটিশ জারি করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠান মালিকরা বৈধ ব্যবসায়িক কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় দেশটির স্থানীয় সরকার আইন ১৯৭৬-এর ১০১(১)(ভি) অনুযায়ী ৪৪টি দোকান তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়।
এছাড়া যথাযথ অনুমোদন ছাড়া বিদেশিদের ব্যবসা পরিচালনার অনুমতি দেয়ার জন্য স্থানীয়দের ব্যবসায়িক লাইসেন্স স্থগিত বা বাতিল করার কারণ উল্লেখ করে স্থানীয় মালিকদের সরাসরি কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়েছে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
অভিযানে হিজাব, কাপড়, পোশাক, জুতা, ব্যাগ, মোবাইল ফোনের আনুষাঙ্গিক সামগ্রী, কম্পিউটার সরঞ্জাম, ইলেকট্রনিক সিগারেট (ভিএপি) এবং অন্যান্য বিভিন্ন কার্যক্রম বিক্রির পাশাপাশি ৮৫ জন শ্রমিক ও ব্যবসায়ীকে প্রাথমিকভাবে বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত করে পুলিশ।
ডিবিকেএল জানিয়েছে, ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩-এ উল্লিখিত অপরাধের অধীনে যথাযথ পরিচয়পত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশের ২২, ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের ৩ জন করে এবং মিয়ানমারের একজনসহ মোট ২৯ জন বিদেশিকে আটক করেছে ইমিগ্রেশন বিভাগ।
এদিকে, মালয়েশিয়ার কোম্পানি কমিশনের (এসএসএম) বিভিন্ন অপরাধ এবং তা লঙ্ঘনের জন্য ৯২টি নোটিশ জারি করা হয়েছে যার মধ্যে ব্যবসায়িক নিবন্ধন আইন ১৯৫৬ সম্পর্কিত ৬৪টি এবং কোম্পানি আইন ২০১৬ -এর অধীনে ২৮টি নোটিশ ব্যবসার মালিক ও স্থানীয় কোম্পানির মালিককে দেয়া হয়েছে।
বিদেশিদের পরিচালিত ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন হটস্পটে নিয়মিত এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করা হবে বলেও জানিয়েছে ডিবিকেএল।